ঢাকাই সিনেমার বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু। তিনি দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। তার অভিনীত সিনেমা গুলো দর্শক মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। তবে বেশ কিছু দিন ধরে তিনি সিনেমা জগতের বাইরে রয়েছেন। এবং নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত ১৭ই জানুয়ারি এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী খন্ডিত বস্তা বন্ধী লা/শ পাওয়া যায় কেরানীগঞ্জে একটি ব্রীজের পাশে। এই ঘটনায় তার স্বামী সহ ৩ জনকে গ্রে/ফ/তার করেছে পু/লি/শ। এদিকে এই হ/ত্যা প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বললেন স্বামী নোবেল।
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হ/ত্যা/র কোনো পরিকল্পনা ছিল না বলে দাবি করেছেন তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল (৪৮)। সকালে দুজনের মধ্যে ঝগড়ার সময় তিনি শিমুকে চড় মেরেছেন বলে দাবি করেন তিনি। শিমু তার ওপর হা/ম/লা চালায়। ক্ষি/প্ত হয়ে তিনি শিমুর গ/লা টি/পে ধরলে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন।। এদিকে শিমু হ/ত্যা/র পেছনে দাম্পত্য কলহের বিষয়টি সামনে এলেও তাদের দ্বন্দ্ব কিসের তা এখনো জানেন না স্বজনরা। হ/ত্যা/র সময় শিশুরা একই বাড়িতে থাকলেও তাদের কিছুই নজরে পড়েনি। ঢাকার গ্রিন রোড এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন এই অভিনেত্রী। শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন জানান, রোববার সকালে তাদের ১৭ বছরের মেয়ে ও ৫ বছরের ছেলে বাড়িতে ছিল। তবে ঘটনার বিষয়ে তাদের কেউই কোনো ধারণা পাননি। এটি নোবেলদের বাড়ি। তারা তাদের বসবাসের ফ্ল্যাটকে আরও বড় করেছে। বাড়িগুলো অনেক দূরে থাকায় তারা কিছুই শুনতে পায়নি। নোবেল শিশুদের বলেছেন সকালে তার মা শুটিংয়ে বেরিয়েছিলেন। শিশুরা সবাইকে তা বলে।
শিমু-নোবেল দম্পতির বড় মেয়ে হাইস্কুলের ছাত্রী। ছোট ছেলের বয়স ৫ বছর। পু/লি/শ বলছে, তার স্বামী খন্দকার সাখাওয়াত আলীম নোবেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে শনিবার রাতে গ্রিন রোডের একটি ফ্ল্যাটে ঝগড়ার সময় তার স্ত্রী শিমুকে শ্বাসরোধ করে হ/ত্যা করার কথা বলেছেন। হ/ত্যা/র পর বন্ধু এসএম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদের সহায়তায় লা/শ গু/ম করেছিলেন। বুধবার শিমুর ভাই খোকন জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার বিষয়টি তিনি জানতেন। শিমুকে নানাভাবে নি/র্যা/তন করত নোবেল। কিন্তু আমি জানি না সং/ঘ/র্ষ কিসের।
এদিকে শিমুর হ/ত্যা/র ঘটনাকে ঘিরে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা জায়েদ খানের দিকেও সন্দেহের আঙ্গুল তুলেছে অনেকেই। মূলত শিল্পী সমিতির সদস্য পদ নিয়ে বেশ কয়েকবার দ্বন্দে জড়িয়েছিল জায়েদ খান এবং শিমু। অবশ্যে প্রশাসন এই ঘটনার সাথে যুক্ত আসল অপরাধী শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এবং নোবেল নিজেই এই ঘটনার দায় শিকার করেছে।