সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঢালিউড অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের কোনো ত্রুটি রাখছে না পুলিশ। ইতিমধ্যে স্বামী খন্দকার সাখাওয়াত আলীম নোবেলসহ দুইজনক গ্রপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদে নিয়েছে পুলিশ। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার সামনে এলো চাঞ্চল্যকর এক তথ্য।
আর তা হলো অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুরা হত্যার পেছনে অবৈধ সম্পর্কের তথ্য পাওয়া গেছে। শিমুর হত্যাকারী তার স্বামী নোবেল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, তার স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। নোবেল দাবি করেছেন যে তিনি তার স্ত্রীকে এদিক থেকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হন। জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তাদের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। শিমুর সঙ্গে যার সম্পর্কের কথা বলছেন নোবেল তাকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে তার সঙ্গে এখনও কথা বলতে পারেনি পুলিশ।
ঢাকা জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “নোবেল দাবি করেছেন যে তার স্ত্রীর সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে কোনো সংকট ছিল না। কিন্তু কিছুদিন ধরে শিমু অন্য একজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাই তিনি তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তিনি তাকে ঐ পথ থেকে সরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।’ পুলিশ এখনও তার সাথে কথা বলেনি।
উল্লেখ্য, ঢাকাই সিনেমা জগতে শিমুর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৯৮ সালে কাজি হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। আর এরপর থেকেই নিয়মিত অভিনয় শুরু করন তিনি। তবে বড় পর্দার পাশাপাশি শেষে এসে ছোট পর্দায়ও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে।