বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রযুক্তির একটি অংশ অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এই অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই নান ধরনের পন্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। তবে সম্প্রতি বেশ কিছু অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে অন্যতম একটি কিউকম ডটকম। তবে এবার এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কাছে থেকে নেওয়া অর্থের কিছু অংশ ফেরত দিচ্ছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে রিপোর্ট করেছে যে তারা ই-কমার্স কোম্পানি কিউকম ডটকমের ৬,৭২১ গ্রাহকের ক্রয় আদেশের বিপরীতে ৫৯ কোটি টাকা ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বাণিজ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০ জনকে টাকা ফেরত দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। জানা গেছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ছাড়পত্র অনুযায়ী কিউকমের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথম ২০ জনের টাকা ফেরত দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাকি ৬ হাজার ৭০১ জনের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। বাকি টাকা তালিকা অনুযায়ী পরিশোধ করা হবে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এএইচএম সফিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সিআইডি অক্টোবরে কিউকমসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির হিসাব উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে সিআইডির ডিজির সঙ্গেও কথা হয়েছে। মঙ্গলবার আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছি। তারা আজ নয়, আগামীকাল ছাড়পত্র দেবে। যেহেতু এটি একটি রাষ্ট্রীয় বিষয়, তাই বাণিজ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০ জন গ্রাহককে ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থ ছাড় করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আনুষ্ঠানিকতা কখন হতে পারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, “সিআইডির ক্লিয়ারেন্স পেলে পেমেন্ট গেটওয়ে ফাস্টার সেই লোকদের ঠিক করবে।” এরপর মন্ত্রীদের সময় রবিবার বা পরে হতে পারে। আমরা ফেরত দিতে প্রস্তুত। মুক্তির অনুষ্ঠানে মন্ত্রীরা ২০ জন ক্রেতার টাকা শোধ করবেন। কিউকম ডটকম তাদের পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টার দেয়। ই-কমার্স কোম্পানী কিউকম ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরেও পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ আনা হয়েছিল যে তারা বাজার মূল্যের কম পণ্য অফার করছে।
গত কয়েক মাস ধরে দেশ জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে ছিল বেশ কিছু অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এই সকল প্রতিষ্ঠান গুলো নানা কৌশলে গ্রাহকদের কাছ থাকে হাতিয়ে নিয়ে বিপুল পরিমানের অর্থ। তবে বেশ কিছু অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে প্রশাসন। এবং বাকীদেরও ধরে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে।