শিক্ষকতার অন্তরালে দীর্ঘদিন ধরেই সন্তান সমতুল্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল হালদারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি শিক্ষার্থী তার অভিভাবককে ঐ শিক্ষকের নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা খুলে বলতেই বিষয়টি নজরে আসে সবার। আর এর পরপরই গোটা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী দুই-তিন দিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তার মা তাকে মেরেছে কিন্তু তাকে স্কুলে পাঠাতে পারেনি। পরে জানতে পারেন না যাওয়ার কারণ।
মেয়েটির মা বললো, “আমার মাইয়া দুই-তিন দিন ধইরা স্কুলে যায় না। না যাওয়ায় আমি হেরে মারছি। তাও স্বীকার যায় না। আমার ভাতিজি আইসা বলল, ‘কি হবে? এরম এরম চলতে আছে। ওই আপনারে লজ্জায় কয় না।’
পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র বলে, ‘স্যার গেলে আমাগো ধরে।আরো অনেক কিছু বলে. গেলে আমাগো ধরে. ‘
এক অভিভাবক জানান, স্কুলের বাংলা শিক্ষিকা ময়না রানী সিকদারকে যৌন হয়রানির কথা জানালে তিনি ছাত্রীদের বলেন, ‘ওতে কী হয়? স্যার তো তোমাদের একটু আদর করতেই পারেন। ‘
এদিকে প্রধান শিক্ষকের এ ঘটনায় রীতিমতো তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। শিক্ষার্থীদের কাছে একজন শিক্ষক অভিভাবকের সমান। তাই সেই দিকটি একটিবারও না ভেবে শিক্ষার্থীদের সাথে অনৈতিক কাজ করায়, প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল হালদারকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।