বর্তমান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা কমিশনারদের মেয়াদ কাল শেষের পথে। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ রয়েছে। এরই সূত্র ধরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমশিন গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। এই নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা বিরাজ করছে। এই নিয়ে কিছু কথা জানালেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকারের প্রস্তাবিত আইনকে ছেলেভোলানো ‘সান্তনা পুরস্কার’ বলে অভিহিত করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তার মতে, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রশ্নে প্রস্তাবিত আইন অতীতের সার্চ কমিটির নীলনকশাকে আইনি বৈধতা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। জনস্বার্থে নির্বাচন কমিশন গঠন বা গণতন্ত্রের আকাঙ্খা পূরণ সম্ভব হবে না। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। আ স ম আবদুর রব মনে করেন, প্রস্তাবিত আইনে ভঙ্গুর নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি শক্তিশালী, দক্ষ, সৎ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের অনিবার্যতা প্রতিফলিত হয়নি। আইন হতে হবে জনস্বার্থে, আজ্ঞাবহ সরকার গড়ার জন্য নয়। ”
জাসদ সভাপতি বলেন, সৎ, দক্ষ ও জনগণের আশা-আকাঙ্খার ভিত্তিতে একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচনের প্রস্তাবে একটি কমিশন গঠনের জন্য নাগরিকদের (সুজন) পক্ষ থেকে সুশানকে বলা হয়েছে। কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২১। “যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তার কোনোটিই সরকার আমলে নেয়নি।” আ স ম আবদুর রব দাবি করেন, “এখনই নির্বাচন কমিশন, সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত পোষণ করতে হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কালীন সরকার গঠন, অর্থাৎ জাতীয় সরকার গঠন। অন্যথায় রাষ্ট্র ক্রমাগত সংকটে পড়বে, যা কাম্য নয়।’
এবারের নির্বাচন সার্চ কমিটির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সরকার। এবং এই সার্চ কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিটি গঠনের জন্য নিরলস ভাবে কজা করে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। এবং তিনি জানিয়েছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কমিটি গঠন করা হবে।