এর আগেও নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে তারেক সরকারকে গ্রেপ্তারকে করেছিল পুলিশ। তবে পরবর্তীতে জামিনে জেল থেকে বেরিয়েও নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেননি তিনি। আর সেই সূত্র ধরে আবারও পুলিশের জালে বন্দি হলেন তারেক সরকার। এবার জানা গেল, ক্ষমতাসীন আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক পরিচয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ফোন করে চাকরির সুপারিশ করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। আজ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন।
ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, তারেক সরকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের পরিচয় দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেনকে টেলিফোন করেছিলেন। নানক পরিচয় দিয়ে চাকরির জন্য তদবির করেন। কিন্তু আক্তার হোসেনের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর বিভাগকে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তের মাধ্যমে তারা জানতে পারে তারেক একজন প্রতারক। সে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে ৩টি প্রতারণার মামলা রয়েছে। জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে সচিবকে ফোন করেন তারেক।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর তারেক নরসিংদী জেলা জাতীয়তাবাদী প্রচারণার সদস্য সচিব বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়। তিনি নিজেকে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের পিএস বলে পরিচয় দেন। সে ২০০৬ সালে কারারক্ষী পদে নিয়োগ পায় এবং ২০২০ সালে একজন সংসদ সদস্যকে আইজি প্রিজন্স পরিচয়ে ফোন করার অপরাধে চাকরি চলে যায়। তারেক বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নাম ব্যবহার করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের ফোন করে প্রতারণা করে আসছিলেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র (যেমন অ্যাডমিট কার্ড, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, প্রতি নিয়োগের আর্থিক লেনদেনের হিসাব) সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে।
এ সময়ে তারেক সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের আলোকে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, তারেকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সেই সাথে তার কারারক্ষী চাকরি নেওয়ার সময়ে কোনো সুপারিশ ছিলো কি না, সে ব্যাপারটি খুব শীঘ্রই খুতিয়ে দেখা হবে।