নিখোঁজের একদিন পরেই চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার পরপরই বেশ বিপাকে পড়ে যান বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। বিশেষ করে, শিমুর মৃত্যু নিশ্চিত হতেই সংবাদ মাধ্যমকে তার বেশ কিছু সহকর্মী দাবি করেন, শিমুর মৃত্যুর পেছনে জায়েদ খানের হাত থাকতে পারে। তবে ইতিমধ্যে জানা গেছে, শিমুর হ’ত্যাকারি অন্য কেউ নয়, তার স্বামী নোবেলই তাকে মেরেছেন।
আর এবার সেই সকল অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন জায়েদ খান। শিমুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে তার কিছু সহকর্মী গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন যে শিমু তার ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো কর্মীদের একজন।
জায়েদ খান তাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনার পেছনে জায়েদ খানের হাত থাকতে পারে বলে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন তারা। এদিকে ইতিমধ্যে এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী শিমু তার স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল। এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে গণমাধ্যমে আমার নাম ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি নিজেকে বদনাম করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেব।
গত দুই বছরে শিমুর সাথে আমার দেখা বা কথা হয়নি। সামনে নির্বাচন, তাই নোংরা রাজনীতি করছেন কেউ কেউ। জায়েদ খান বলেছেন: রাতে তার বাসায় গিয়েছিলাম। তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিলাম। গত রোববার সকাল থেকে শিমু নিখোঁজ ছিল। এরপর পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কলাবাগান থানায় জিডি করা হয়। একদিন পর সোমবার বিকেলে তার লাশ পাওয়া যায়।
এদিকে শিমুর মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। আর এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসেছে ময়নতদন্তের রিপোর্ট। আর সেই ধারাবাহিকতায় জানা যয়, মৃত্যুর আগে শিমুকে স্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় পরিবার-স্বজনদের মাঝে বইছে কান্নার রোল।