বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। তিনি মা/দ/ক এবং দূর্নীতি জের ধরে দীর্ঘ সময় ধরে শীর্ষ আলোচনের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুদক মামলাও দায়ের করেছে। সম্প্রতি তার সেই মামলা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার চার্জশিট বাদ দেওয়ার জন্য বদির আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন লিড অ্যাটর্নি খুরশীদ আলম খান।
২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ গোপন করা এবং ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক একটি মামলা করে। দীর্ঘ বিলম্বের পর ২০১৭ সালে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিচারিক আদালত আবেদনকারীর মুক্তির আবেদন খারিজ করে এবং মামলায় অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেয়। আবদুর রহমান বদি হাইকোর্টে আদেশের রিভিউ করেন।
বর্তমান সময়ে দেশে নানা ধরনের অনিয়মের প্রবনতা ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে মাদক এবং দূর্নীতি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে এই দুই অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছে। এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এরই লক্ষ্যে এই অপরাধ দমনে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।