ঢাকাই সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম ওরফে শিমুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা বিনোদন অঙ্গন জুড়ে বইছে ব্যাপক শোরগোল। নিখোঁজের মাত্র ১ দিন পরেই শিমুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে গুণী এই অভিনেত্রীর স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেলকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এবং এ জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলেও আশাবাদি পুলিশ।
তবে অভিনেত্রী শিমুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেন ফেঁসে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
পরিবারের অভিযোগ ভিন্ন হলেও শিমুর সহকর্মীদের সন্দেহ হয় অভিনেতা জায়েদ খানকে। তবে এ ঘটনায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে বলেও দাবি করেন জায়েদ খান।
শিমুর সহ-প্রযোজক ফিরোজ শাহী বলেন, “কেন শিমু ইউটিউবে গিয়ে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে কথা বলল? এ কারণে শিমুর পক্ষে জায়েদ খান মামলাও করেন।
একইভাবে অভিনেত্রী তাহমিনা হোসেন বেবী বলেন, তিনি (জায়েদ খান) সব পারেন। তিনি একটি আসনের জন্য সবকিছু করতে পারেন। বা তুই তুকারি কেন করতে যাবে।’? ‘
অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা আরও বলেন, “শিমুরার অকাল মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এটা মেনে নেব না। আমরা যে ১৮৪ জন (চলচ্চিত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত) তারা একাই লড়াই করছি!”
এমতাবস্থায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মহাসচিব জায়েদ খান তার বিরুদ্ধে সন্দেহের বিষয়ে বলেন, ‘৩/৪টি শিশু যাদের নাম বলা উচিত: ফিরোজ শাহী, সাদিয়া মির্জাসহ আরও কয়েকজন। এদিকে নোংরামি শুরু করেছেন সাদিয়া মির্জা। ইউটিউবে গেলে দেখা যাবে, ‘জায়েদ খান আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন’ কথাটি ছড়াচ্ছেন তিনি। আসলে আমি মনে করি এই নোংরামি বন্ধ হওয়া উচিত।
তবে যাই হোক না কেন, অভিনেত্রী শিমুর মৃত্যু যে স্বাভাবিকভাবে হয়নি তা অনেকটা পরিষ্কার। অন্যদিকে তার মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হলেও শিমুর সহকর্মীদের তীর যেন পড়েছে জায়েদ খানের দিকে। তবে শিমুর মৃত্যুর ঘটনায় কারা কারা জড়িত, সে বিষয়টি খুটিয়ে দেখছে পুলিশ।