জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘ দুই বছরেরও অধিক সময় কারাভোগের পর শর্ত সাপেক্ষে জামিনে জেল থেকে বাইরে রয়েছেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে কারাগারের বাইরে রইলেও পুরোপুরি মুক্তি মিলছে না গুণী এই নেত্রীর। আর তাই রীতিমতো রাজপথে আন্দলোন করে চলেছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় রাজপথেই ফয়সালা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি দলীয় নারী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, “বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার তিনটি উপায় আছে। একটি হলো তার আইনি মোকাবেলা করা। আইনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, জামিনের সব শর্ত পূরণ করা হলেও চেয়ারপারসনের জামিন হচ্ছে না। যে ভুয়া মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়, এ ধরনের মামলায় হরদম জামিন হয়, কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হয়নি। সেই প্রধান বিচারপতি সিনহার মামলায় স্পষ্ট যে বিচার বিভাগ পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী শাখার অধীনে চলে। আর বাকিটা হলো ৪০১ ধারা বা সড়ক।৪০১ ধারায় আবেদন করা হয়েছে এবং সরকারকে বারবার বলা হয়েছে মানবতার সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।আর বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বারবার দেশের বাইরে যেতে দেয়া হয়। সেটার জন্য বারবার বলা হয়েছে। সেটা সরকার কর্ণপাত করছে না। আমাদের হাতে এখন রাজপথ খোলা আছে এবং রাজপথেই বিষয়টা ফয়সালা হবে।’
আইনজীবী রুমিন ফারহানা বিভিন্ন দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি যে এই সরকার ক্ষমতায় থাকা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এ দেশে হ’ত্যা ও বিচার’বহির্ভূত ফাঁসি চলছে। রাষ্ট্রের সাহায্য।সরকার বরাবরই তা অস্বীকার করেছে।আজ আন্তর্জাতিকভাবে তা প্রমাণিত হয়েছে।’
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি, এবং অবনতিও হয়নি বলে সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, এই মুহু্র্তে খালেদা জিয়াকে বিদেশে না নেয়া হলে, পরবর্তীতে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এই দায় সরকারকে নিতে হবে।