অবশেষে তুমুল বাধাবিঘ্ন আলোচনা-সমালোচনা কাটিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে বিপুল ভোটে পাস করেছেন আইভী। তবে সে জেতার পরে মন্তব্য করে আরো যেন বেশি আলোচনার শীর্ষে চলে এলেন এই মেয়র। তবে বিরোধী দলীয় হলেও তৈমুর কাকার ইশতেহার ফলো করবেন তিনি এমনটাই জানিয়েছেন। যেটা নিয়ে এখন মানুষের মাতামাতি। আসলেই কি তিনি এমনটা করবেন নাকি এটা তৈমুরকে ঠেস দিয়ে কথাটা বললেন!
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয়ের পর মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী তার জীবনের শেষ দিনটি নগরবাসীর জন্য উৎসর্গ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তিনি নির্বাচনে যে উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূরণ করার প্রতিশ্রুতিও দেন। আইভি বলেছিলেন যে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি তৈমুরের প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করবেন
টানা তৃতীয় জয়ের পর রোববার রাতে দেওভোগে নিজ বাড়ির বারান্দায় বসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইভী।
রাতে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর আইভী তার বাসায় সাংবাদিকদের বলেন আইভীর ভিড়। সেখানে সব সময় মানুষ ছিল। আইভী আজীবন মানুষের পাশে থাকতে চায়। জীবনের জন্য আইভি আপনার. আইভি-নৌকা এখানে এক এবং একমাত্র।
“আপনি মোটেও কাজ করতে পারবেন না,” তিনি বলেছিলেন। তবে তৈমুরের কাকার দেওয়া প্রতিশ্রুতি আমি মেনে চলব। ‘
তৈমুর আলমের দায়ের করা অভিযোগেরও জবাব দিয়েছে। “আমি জানি না সে কি করছে,” আইভি বলল। আপনি কি ঘটেছে দেখেছেন. এতগুলি মাধ্যম, আমি তাদের আগে কখনও দেখিনি। গত দুই নির্বাচনে মিডিয়ার এত উপস্থিতি দেখিনি। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং কোথায়? ‘
তিনি বলেন, আমি সকাল থেকেই অভিযোগ করে আসছি যে ভোটের গতি ধীরগতি। ধীরগতিতে ভোট না হলে এক লাখ ভোটের পার্থক্য হতো। ‘
নির্বাচনী মাঠে ভয় বা শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে আইভী বলেন: “নির্বাচনে কোনো ভয় বা শঙ্কা ছিল না। তবে, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে অনেকেই আমার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখেছেন। আমি কাজ করেছি তাই জানতাম মানুষ ধর্মান্তরিত হবে না। . ‘
আইভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে আমাকে নৌকা দিয়েছিলেন তার প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি। আমি আওয়ামী লীগে থাকতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলে থাকতে চাই। আমি বলব জয় বাংলা।”
গত নির্বাচনের তুলনায় কম ভোট পাওয়ায় কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি ওয়াচডগ। তিনি বলেন, আমি গতবারের চেয়ে কম ভোট পেয়েছি। তবে ভোট পড়েছে কম। তিনি আরও পিচ করলে বড় ব্যবধানে জিততে পারতেন।
উপস্থিত সাংবাদিকরা জানতে চান এবারের বিজয়ের পর তাদের মূল কাজ কী হবে। এর জবাবে আইভী বলেন, আমার প্রধান কাজ হবে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর কদমরসুল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা। শহুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং নগরবাসীকে পানীয় জল সরবরাহের জন্য টেকসই সমাধান।
মানুষের মুখ থেকে নানান রকম মন্তব্য শোনা যাচ্ছে তবে এই সত্যটা কি সেটা তো একমাত্র আইভী নিজেই বলতে পারবে। এখন দেখার বিষয় তিনি কতটা কাকার ইশতেহার ফলো করবে। যদি সত্যিই চিনি তৈমুর কাকার ইশতেহার ফল করেন তাহলে সেটা বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এক অনন্য অবদান হয়ে থাকবে। সবাই মিলে যদি কাজ করা যায় সে ক্ষেত্রে অগ্রগতি দ্বিগুণ তাড়াতাড়ি আসবে।