Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / রিয়ার মতো মৌ-ও চলে যায় ভিন্ন পথে, রূপে আকৃষ্ট হলেও কাছে ঠাঁই দেন না কেউ

রিয়ার মতো মৌ-ও চলে যায় ভিন্ন পথে, রূপে আকৃষ্ট হলেও কাছে ঠাঁই দেন না কেউ

গোটা বছর-জুড়েই যেন আলোচনার শীর্ষে সিলেটের অন্যতম আলোচিত মডেল মৌ। নানা অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পরপরই তার বিরুদ্ধে একের পর এক উঠে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিলেটি নাটকপাড়ায় মানুষের মুখে মুখে যেন কেবল একটি নাম, আর তা হলো-মৌয়ের। মৌয়ের সঙ্গে সমস্যায় জড়াতে চান না কেউই। সেহেতু বলে মুখ বন্ধ রেখেছেন অনেকেই। তবে তার বেপরোয়া জীবন নিয়ে নাটকপাড়ার অনেকে শঙ্কিত। প্রায় ৫-৬ বছর আগে সিলেটে প্রকাশ্যে ছিলেন মৌ। কয়েক দফা গ্রেপ্তারের পর কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে তিনি নীরব হয়ে যান।

তিনি সোচ্চার থাকার জন্য ভার্চুয়াল জগত বেছে নিয়েছিলেন। মৌ ঝড় তুলতে টিকটক বেঁছে নিয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর, দেরীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক মাউই টিক্স ভেসে বেড়াচ্ছে। এবং এই টিকগুলি আবার আলোচনা করা হচ্ছে। আর স্থান হিসেবে সিলেট-কোম্পানিগঞ্জ সড়ক বেছে নেয় তারা। টিকিটে বিভিন্ন ভঙ্গিতে সোহেলের সঙ্গে গান গাইছেন মৌ। সোহেলও নাচছেন। এছাড়াও, তারা আরও কয়েকটি এন্ট্রিও দেখেছে, কখনও গাড়িতে আবার কখনও মোটরসাইকেলে। এই টিকগুলি ওয়েব দুনিয়া জয় করেছে। সিলেট নাটকপাড়ার মডেল সামিনা ইসলাম মৌ-এর বাড়ি নগরীর কদমতলী এলাকায়। সে এলাকার এক পরিচিত পরিবারের মেয়ে। পরিবারটি মূলত কদমতলী এলাকায় শাসন করত। সেই শাসন এখনো আছে। বাবার মৃত্যুর পর পারিবারিক কারণে মৌ বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এরপর মায়ের সঙ্গে শহরের কুমারপাড়ার মামারবাড়ি এলাকায় চলে যান। তার সমবয়সীদের সাথে থেকে, তিনি অন্য জগতে পা রাখেন। এরপর তিনি মিউজিক ভিডিও ও নাটকে নেমে পড়েন। এখন সিলেট জুড়ে মাউই পরিচিত। তরুণদের কাছে তার নাম সুপরিচিত। পার্টি, একত্রিশতম রাত, বৈশাখী অনুষ্ঠান সব জায়গা থেকে বিত্তবানরা আয়োজন করে থাকেন। এসব কারণে মৌয়ের সঙ্গে তার মায়েরও ঝগড়া হয়। মৌ প্রায়ই মায়ের অবাধ্য হয়ে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বন্ধুদের সাথে থাকে। বিয়ে করলেও আপনি সংসারী নন। অনেকে তার প্রতি আকৃষ্ট হলেও তার উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে কেউ তাকে স্থান দেয় না। ফলে মৌ তার মতোই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

তার সহকর্মীদের মতে, মাদক সেবনে অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়েছে। ২০-২১ বছর বয়স থেকে, মৌ পুরুষের সাথে মেলামেশা শুরু করে। এ সময় তিনি নগরীর ধোপাদিঘিরপাড়ের একটি রেস্তোরাঁয় সিসা পান করতেন। এরপর তিনি ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের সঙ্গে পরিচিত হন। বৃহস্পতিবার সিলেটের শহরতলীর সালুটিকরে গ্রেফতারের পর মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেন মৌ।

তিনি বলেন, তিনি নিয়মিত ফেনসাইক্লিডিন খান। এ জন্য সে তার প্রেমিকদের নিয়ে সালুটিকর, খাগাইল বা কোম্পানীগঞ্জে ছুটে যায়। মাদকাসক্ত হওয়ায় সে প্রতিদিন কোম্পানীগঞ্জে যায়। যে কারণে সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানীগঞ্জ রুটে সব টিক টিক করেছে। নির্জন পরিবেশের কারণে বাইকারের পেছনের হিসেবে মৌ মডেলও ওই পথে যায়। বর্তমানে পিছনের বাড়িটি পদ্মা-৬০, রায়নগর, সিলেটে অবস্থিত। এর আগে তিনি শহরের শেখঘাট, কুয়ারপাড়, বারিকান্দি, শিবগঞ্জ ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। কয়েকদিন এলাকায় থাকার পর তারা দেখা করে চলে যান।

স্বজনরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুরমায় পৈতৃক সূত্রে অনেক সম্পদের মালিক মৌ। এখন তার স্বজনদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু স্বজনদের কাছ থেকে আলাদাই থাকছেন তিনি। এদিকে মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তারের পর থেকে মৌয়ের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করছেন সকলেই। এমনকি তার অপরাধের সঙ্গে না জড়াড়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন সবাই। রুপের ঝালে অনেককে নিঃস্ব করেছেন তিনি।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *