সম্প্রতি গত বেশকিছু দিন আগেই বাংলাদেশের ৭ র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে যেন গোটা দেশেজুড়ে শুরু হয়েছে বেশ শোরগোল। তবে এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে।
যুক্তরাষ্ট্রের লেহি আইন বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। এ কারণেই চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রণীত লেহি আইন মেনে চলবে কি না তা এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে জানাতে আরও সময় চেয়েছে বাংলাদেশ।
লেহি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইন যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত সংস্থাগুলির উপস্থিতি সীমাবদ্ধ করে। এই ধারাটি বিশেষভাবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স থেকে অন্যান্য দেশের সহায়তা নিয়ন্ত্রণ করে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড, জোরপূর্বক গুম এবং ধ’র্ষণকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্মতি চেয়ে বাংলাদেশকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। কারণ ১ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে লেহি আইন কার্যকর হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১-এ, বাংলাদেশ নিরাপত্তা খাতে মার্কিন সহায়তার বিষয়ে লেহি আইন বাস্তবায়নের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।
যাইহোক, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে প্রথমবার সময় অনুরোধ করার পরে, লেহি আইন মেনে চলার বিষয়ে ১ জানুয়ারী, ২০২০ তারিখে দ্বিতীয়বার সময় চাওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ কবে সম্মতি দিবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, আইনের প্রভাবগুলো খুতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাচাই-বাছাই শেষে সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে বলে দাবি করেন তিনি।