সম্প্রতি কিছুদিন আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এসে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জয়ী করতে সবরকম চেষ্টা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। আর এরই মধ্যে আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সকল কার্যক্রম।
তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ নির্বাচনে শামীম ওসমানকে দেখা যায়নি। আদৌ দেখা মিলবে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।।
মন্তব্যের জন্য শামীম ওসমানের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা যায়নি।
শামীম ওসমানের অনুসারী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী খোকন সাহা বলেন, আমি যতদূর জানি তিনি এনায়েতনগরের ভোটার। সে তার সম্পর্কে জানতে তাকে ফোন করেছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কোনো কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন শামীম ওসমান। বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে তার নাম। প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকারকে বারবার উল্লেখ করেছেন শামীম ওসমান।
একই সঙ্গে শামীম ওসমান কাকে সমর্থন করেন তা নিয়েও ছিল তুমুল আলোচনা। গত ১০ জানুয়ারি সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। দলের নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাঠে নামারও ঘোষণা দেন তিনি।
ওইদিন সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান বলেন: “আমি এখনো নৌকার জন্য সাইন আপ করিনি। আমি কাজ করেছি। নৌকার বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবতরণ করেছি। আমি মনে করি বিজয় হবেই। আমাদের হও” . এই জায়গাটা একটা নৌকা। জনগণের কাছে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নৌকা পাড়ি দিতে হবে। আমি পাস করবো. মনের মধ্যে একটা বেদনা ছিল। আজ থেকে আমি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় পুরোপুরি সম্পৃক্ত। প্রার্থী ১৬ তারিখে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। আমরা জিতব।’
এদিকে আজ রোববার নিজের ভোট দিয়ে সংবাদ মাধ্যমেকে সেলিনা হায়াৎ আইভী জানিয়েছেন, এবারের সিটি নির্বাচনে বিপুল জয়ী হবেন তিনি। নারায়ণগঞ্জবাসী তাকেই বেঁছে নেবেন বলে আশাবাদী আইভী। অপরদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর জানিয়েছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জিতবেন।