বর্তমান সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনকে ঘিরে দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে রাষ্ট্রপতি এই কমিশন গঠনের লক্ষ্যে দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সংলাপে লিপ্ত হয়েছেন। এবং তাদের মতামত শুনছেন। রাষ্ট্রপতির এই সংলাপে অংশগ্রহন করেছেন আন্দালিভ রহমান পার্থ। এই সংলাপ কালে বেগম জিয়াকে নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বিশেষ দাবি জানিয়েছেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সংলাপে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে যোগ দিয়ে আন্দালিভ রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বিজেপি খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি তুলে ধরেছে। রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং দেশের সাধারণ পরিস্থিতি বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে বঙ্গভবনের সামনে সাংবাদিকদের একথা বলেন বিজেপি সভাপতি আন্দালিভ রহমান পার্থ। তার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
সংলাপ শেষে আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেন, বিএনপি চেয়ারওম্যান খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে বলেছি। খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানো বৈধ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইন সবার জন্য এক নয়। নারীদের জন্য আইন একই, করদাতাদের জন্য আইন একই, ভিআইপিদের জন্য আইন একই। ফলে শুধু আইনের কথা বললেই হবে না। খালেদা জিয়ার পরিবার এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে বলতে পারবেন। তার মতে, রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নিতে পারেন।
তিনি বলেন, সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। সরকার আন্তরিক হলে সবই সম্ভব। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার সঙ্গে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটলে রাজনীতি ও রাষ্ট্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে ইসি গঠনে চার দফা প্রস্তাব করেছে বিজেপি। “আমরা আইন সম্পর্কে কথা বলছি,” পার্থ বলেছেন। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের কথা বলেছি। আমরা বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে কখনোই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়টিও অপ্রাসঙ্গিক। নির্বাচন কমিশন গঠনের কোনো আইন না থাকায় সরকারের পছন্দ অনুযায়ী সার্চ কমিটি ও কমিশন গঠনের সুযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছি। পার্থ বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। অনেকেই বলছেন, প্রেসিডেন্টের কোনো ক্ষমতা নেই। কিন্তু সংবিধানের ৪৮ (৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি জনগণের পক্ষে মন্ত্রিসভার কাছে তার মতামত পেশ করতে পারেন। আপনি এটি করতে পারেন যাতে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।
নির্বাচন কমিশনের বর্তমান কমিশনার পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের শেষ নেই। এরই সূত্র ধরে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির কাছে কয়েকটি দাবি জানিয়েছে। এমনকি কয়েকটি দল এই সংলাপের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।