পাকিস্তান- ভারত দক্ষিন এশিয়ার প্রতিবেশী এবং প্রতিদ্বন্ধী দুই দেশ। এই দুই দেশের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। এমনকি বর্তমান সময়েও নানা ইস্যুকে ঘিরে একে অন্যের সঙ্গে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়েছে। তবে সম্প্রতি পাকিস্তান সকল বিরোধের অবসান ঘটিয়ে শান্তি ও অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে নয়া পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
আগামী শুক্রবারই আসছে পাকিস্তানে নতুন ন্যাশনাল সিকিউরিটি পলিসি। এর মূল থিম হলো নিকট প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি ও অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক। এই পলিসি ১০০ পৃষ্ঠার। এর ফলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হওয়া সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের দরজা উন্মুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে জানেন এমন একজন সরকারি কর্মকর্তা মঙ্গলবার এসব কথা বলেছেন সাংবাদিকদের কাছে। তিনি বলেছেন, আগামী ১০০ বছর ভারতের সঙ্গে আমরা কোনো শত্রুতা চাই না। নতুন এই পলিসিতে নিকট প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের নীতি রয়েছে। যদি এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা অগ্রগতি হয় তাহলে ভারতের সঙ্গে আগের মতো ব্যবসা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে।
২০১৯ সালের আগস্ট থেকেই কার্যত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক অচল অবস্থায়। ওই সময় আকস্মিকভাবে বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে ভারত। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনমন করে। দ্বিপক্ষীয় ব্যবসাবাণিজ্য সাময়িক স্থগিত করে। নিয়ন্ত্রণ রেখার দু’পাশে যখন অস্ত্রবিরতির মধ্য দিয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে উত্তেজনা প্রশমনে একমত হয় উভয় পক্ষ, তখন কিছু আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু সেই অগ্রগতি এখনও সুদূরপ্রসারি।
পাকিস্তানের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা পলিসিতে পাকিস্তান ভূূ-কৌশলগত দিক থেকে ভূÑঅর্থনৈতিকতার দিকে মোড় নিয়েছে। তা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নরম হওয়ার আশা করা হচ্ছে। পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তা বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা পলিসির মূলে থাকবে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। একই রকমভাবে এতে থাকবে অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থা। এটাই হবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি।
এদিকে পাকিস্তান বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক ভাবে সংকটে ভুগছে। এবং বৈদেশিক ভাবে মোটা অঙ্কের অর্থের ঋনের জালে বন্ধি রয়েছ। তবে এই সংকট থেকে উদ্ধার পেতে নানা কৌশল নিয়েছে পাকিস্তানের সরকার প্রধান। এবং তিনি প্রতিবেশী দেশ গুলোর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানা কৌশল গ্রহন করেছেন।