গত প্রায় দেড় বছর আগে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারাণ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো গোটা দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল। এরপর একপর্যায়ে বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। আর অবশেষে সেই মামলার আলোকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ দিন ছিল আজ বুধবার। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামি ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ জনকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় প্রদীপ মেজর সিনহা এ ঘটনায় পুলিশের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে দায়ী করে বিচারকের কাছে নিজের প্রতি সদয় হওয়ার অনুরোধ জানান।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) আদালতে যুক্তিতর্ক চলাকালে ১০ মিনিট সময় প্রার্থনা করে ওসি প্রদীপ এ অনুরোধ জানান। এজলাসে উপস্থিত এক আইনজীবী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় আদালতে ১০ মিনিট সময় প্রার্থনা করেন প্রদীপ কুমার দাশ। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘স্যার (বিচারক) মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহাকে খু’ন করেছে পরিদর্শক লিয়াকত। এটা আমি স্পষ্ট জানি। আমার প্রতি আপনি সদয় বিবেচনা করবেন।’
এদিকে যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক মোহাম্মদ ঈসমাইল হোসেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান এ মামলার রায়ের তারিখ ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম জানান, ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত রোববার বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে যুক্তিতর্ক শুরু হয়ে চলে বুধবার (১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের এই তারিখ ঠিক করেন।
এদিকে এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা তাদের উ্পযুক্ত শাস্তিই পাবে বলে আশাবাদি নিহত সিনহার পরিবার। সেনাবাহিনীর খুবই সুদক্ষ একজন কর্মকর্তা ছিলেন মেজর সিনহা। তিনি নিজের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতেন। ব্যক্তিগত জীবনে খুবই ভালো একজন মানুষ ছিলেন তিনি। তিনি নিজ ইচ্ছায় দায়িত্ব থেকে অবসরে গিয়েছিলেন