বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় একদম শীর্ষে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে আগামি বছর ৩হাজার ডলারে উন্নীত হবে বলে মনে করছেন সরকারের অর্থমন্ত্রনালয় বিভাগ। বাংলাদেশ কয়েক বছরের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বলে মনে করছেন বিভাগটি। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এবং তৈরী পোশাক রপ্তানীর মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক অর্থের প্রবাহ এবং রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ অনেক দ্রুত গতিতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, আর এই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা বিপত্তির কথা জানালেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
মধ্যম আয়ের দেশে ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেছেন, ‘কোথাও যেন কিছু একটা হচ্ছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে ফাঁদে পড়ে যাই কি-না, সন্দেহ হচ্ছে আমার।’
মঙ্গলবার দুপুরে অর্থনীতির পূনরুদ্ধার সংক্রান্ত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এমএ মান্নান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উত্তরণের পর ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে এই অবস্থায় পড়ে থাকতে হয় কি-না, এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে আমার।
নিজের এই সন্দেহের কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বহু দেশ মধ্যম আয়ের দেশ ফাঁদে আটকে আছে। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ব্যাপক কাজ করার জন্য গবেষণা সংস্থাগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
‘বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতির থা’বা কাটিয়ে শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের পথে অর্থনীতি’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন উন্নয়নের পথে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ বেশ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ এখন কয়েকটি প্রতিবেশী দেশকে ঋন প্রদান করেছে, যেটার কারনে বাংলদেশ এখন উন্নয়শীল অবস্থার কাতারে অবস্থান করে উদাহরন সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের দূরদর্শী অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় আগামি ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের একটি মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা.