আসন্ন ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি একের পর এক অভিযোগ তুলতে দেখা যায় প্রার্থীদের। সেই আলোকে এবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে এক অভিযোগ তুলে বিএনপির সাবেক নেতা ও স্বতন্ত্র মেয়ার প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এটা নির্বাচনের বড় বাধা। এর আগে একই অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা।
তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ আটক করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
কুড়িগ্রাম শহরের ধরলা নদীর দক্ষিণ পাশে এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে অহেতুক মামলা হচ্ছে না। মাঠ ঘোলা করতে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন, বাড়িঘরে তল্লাশির নামে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন করে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার মঙ্গলবার একই ধরনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এটা নির্বাচনের বড় বাধা।’
তৈমূর বলেন, ‘প্রশাসনের এ ধরনের আচরণে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে শঙ্কা তা আরও শক্তিশালী হচ্ছে। এভাবে চললে বড় ক্ষতি হবে।’
সোমবার সন্ধ্যায় তৈমূর আলমের নির্বাচনি সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যে নাশকতা হয়েছিল, সে মামলার আসামি রবি।
মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপির উপদেষ্টা কাউন্সিল থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনি কাজ করছেন।
তৈমূর বলেন, ‘নানা বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে বারবার অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন বোবা ও অন্ধ হয়ে গেছে। প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ঘেরাও করছেন। প্রশ্ন করলে পুলিশ বলছে, তারা কিছুই জানে না।’
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে শামীম ওসমানের লোক বলে মন্তব্য করেন আইভী। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার জের ধরে শামীম ওসমানকে গডফাদার বলেও ‘অ্যাখ্যা’ দেন আইভী। যা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল।