সম্প্রতি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন বর্তমান শিরোনামের হেডলাইন এমনটাই বলা যায়। এক পাশে রয়েছেন আইভী অন্য পাশে রয়েছেন তৈমুর, জনপ্রিয়তায় কেউ কারো থেকে কমতি নেই। তাইতো নারায়ণগঞ্জ থেকে এত উত্তেজনা মানুষের। কিন্তু যেখানে নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানের মত সংসদ সদস্য রয়েছেন সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে স্বাভাবিকভাবেই আইভীর জনপ্রিয়তা বেশি থাকার কথা ছিল। কিন্তু আইভী এবং শামীম ওসমানের ভিতরে যে বনিবনা নেই তারই পুনরাবৃত্তি করলেন তৈমুর আলম।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে কোনো বিভাজন নেই, বরং আওয়ামী লীগে বিভাজন আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার।
সোমবার নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মদনপুর এলাকায় গণসংযোগকালে তৈমূর এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে- আমার দলে কোনো বিভাজন নেই; তার (আইভী) দলেই বিভাজন আছে।
‘ওসমান পরিবার যে আইভীর পক্ষে নেই সেটা আমরা বলি না। এটা আইভী নিজেই পরিষ্কার করেছেন। এটা এখন ওসমান পরিবার ও আইভীর ব্যাপার, সরকারের ব্যাপার, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপার; আমার ব্যাপার না।
তৈমূর বলেন, ‘আমার দলসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের পুলিশ প্রশাসনের লোক দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। যারা সরকারি মার্কার পক্ষে নির্বাচন করছে না, তাদের বাড়িতে ট্রাক ভর্তি করে পুলিশ পাঠিয়ে সরকারি মার্কার পক্ষে নির্বাচন করার জন্য অযাচিতভাবে হুমকি ও হয়রানি করা হচ্ছে। নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষ থাকা উচিৎ।’
তৈমুর বলেন, ‘সরকারদলীয় প্রার্থীর অবস্থান এতটাই নড়বড়ে হয়ে গেছে যে হাতি মার্কা আজ জনতার মার্কা হয়ে গেছে।
‘১৮ বছরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হয়েছে ঠিকাদারদের প্রতিষ্ঠান। পুনর্বাসন না করে ছিন্নমূল মানুষকে গৃহহীন করা হয়েছে। আর পার্কের নামে ঠিকাদার সিন্ডিকেটকে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।’
যদিও আইভী এবং শামীম ওসমানের ভিতর বনিবনা নেই তবুও দুজনেই নৌকা প্রার্থী এটাও একটা বিষয়। আর এটা তৈমুর আলম এর জন্য একটা বড় সুযোগ। তবে গতকালের শামীম ওসমানের ভাষণ এর মাধ্যমে এটাও শামীম ওসমান প্রকাশ করেছেন যে তিনি সর্বদাই পাশে আছেন নৌকা প্রার্থীর সাথে সে যেই হোক।