বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মুহুর্তে শিল্পীদের মাঝে বেশ উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সব থেকে চমকের একটি বিষয় হলো, এবারের এ নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্নন্দ্বিতা করছেন বাংলা রুপালী জগতের সত্তরের দশকের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। চলতি মাসের আগামী ২৮ জানুয়ারি এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে এ নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে আমি প্রকাশ্যেই কাঞ্চন ভাইকেই সমর্থন করব বলে মন্তব্য করেছেম বলছিলেন অভিনেতা বাপ্পারাজ।
প্রকাশ্যে ইলিয়াস কাঞ্চনকে সভাপতি পদে সমর্থন জানালেও আসন্ন নির্বাচনে মিশা সওদাগর জায়েদ খান প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন তিনি।
তবে বাপ্পারাজ সভাপতি হিসেবে নিজ প্যানেলের প্রার্থী মিশা সওদাগরকে চান না। চান প্রতিপক্ষ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চনকে। তার ভাষ্য, সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চনই যোগ্য। আমি মনেপ্রাণে চাই তিনিই সভাপতি হোক।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাপ্পারাজ বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি যদি একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে তাঁর কলিগদের ইজ্জত-সম্মান দিয়ে কথা বলতে না পারেন, কলিগকে হিউমিলিয়েট করেন—তাঁর তো সভাপতি পদে থাকার কোনো অধিকারই নেই। খামোখা জায়েদ খান জোর করে মিশাকে বানিয়েছেন। চান্সেও মিশা হয়ে গেছে। মিশার তো সভাপতি হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। সভাপতি হতে তো মিনিমাম কিছু যোগ্যতা লাগে, স্ট্যান্ডার্ড লাগে। জায়েদ খানও এখন ব্যাপারটা বুঝছে,’ বললেন বাপ্পারাজ।
এদিকে সভাপতি হিসেবে বিরোধী প্যানেলের ইলিয়াস কাঞ্চনকে চাইলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চাইছেন নিজ প্যানেলের জায়েদ খানকে। কারণ হিসেবে বাপ্পারাজ বললেন, ‘ভোট শেষে সবাই কিন্তু এক সমিতির লোক। রেষারেষি করেই তো ইন্ডাস্ট্রির আজ এই হাল। সবাইকে উদারতার প্র্যাকটিস করতে হবে। এটা সবাইকে শেখাতেও হবে। প্যানেল গঠন কিন্তু শুধু একটা নির্বাচনের জন্য, যখন আমরা সবাই মিলে সমিতিতে দাঁড়িয়ে যাব, একসঙ্গে কাজ করব—সবাই আমরা শিল্পী। কে কোথা থেকে এসেছি, কোন প্যানেল—এসব নিয়ে ভাবার দরকার নেই।’
জায়েদ খানের ব্যাপারে বাপ্পারাজ বলেন, ‘ও কিছু করুক না করুক, প্রতি সপ্তাহে তো অন্তত দোয়া মাহফিল করেছে। সিনিয়র শিল্পী যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের নানাভাবে স্মরণ করছে। ব্যক্তিগতভাবে সে কী করছে না করছে, তা আমার জানার দরকার নেই। তাই আমি সবাইকে বলছি, ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করতে আর জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক—এটা আমার ব্যক্তিগত চাওয়াও বলতে পারেন।’
অন্যদিকে জানা গেছে, রশিদ ছাড়াই ২৪০ জন সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ার অভিযোগে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের খানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ নিয়ে শিল্পীদের মাঝে চলছে ব্যাপক শোরগোল। তবে এ অভিযোগ রীতিমতো অস্বীকার করেছেন তারা।