Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / প্রেম করে বিয়ে, দীর্ঘদিন পর বিদেশ থেকে ফিরে ইমরুল বললেন আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি

প্রেম করে বিয়ে, দীর্ঘদিন পর বিদেশ থেকে ফিরে ইমরুল বললেন আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি

দীর্ঘদিন প্রেমের পর দুই পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে ২০০২ সালে বেশ জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলবাউস গ্রামের ইমরুল লস্কর। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন বেশ ভালই যাচ্ছিল তাদের। তবে জীবিকার তাগিদে ২০০৭ সালে পরিবার ফেলে সূদুর সৌদি আরবে পাড়ি জমাতে হয় ইমরুলকে। এর মাঝে বেশ কয়েকবার দেশেও আসেন তিনি।

সেই ধারাবাহিকতায় রোববার (৯ জানুয়ারি) দেশে এসে দেখেন, গ্রামের বাড়ি তালাবদ্ধ। স্ত্রী ফাতেমাও বাড়িতে নেই।

সৌদি প্রবাসী ইমরুল লস্করের অভিযোগ, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। এ ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন ইমরুল। অভিযুক্ত ফাতেমা বেগম একই গ্রামের আলহাজ হাসেম শেখের মেয়ে।

ইমরুল লস্কার অভিযোগ করে বলেন, সৌদি আরব থেকে আজ সকালে বাড়িতে এসে দেখি গেটে তালা দেওয়া। পাশে আমার শ্বশুরবাড়ি। সেখানে গিয়ে শ্বশুর হাসেম শেখ ও শাশুড়ি ভ্যাগা বেগমের কাছে স্ত্রীর কথা জানতে চাই। তবে স্ত্রীর বিষয়ে তারা কিছু জানেন না বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, ২০০২ সালে ফাতেমার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে আমাদের বিয়ে হয়। ২০০৭ সালে আমি সৌদি আরব চলে যাই। সেখান থেকে আমি স্ত্রীর নামে দীর্ঘ ২০ বছরে ৯৭ লাখ টাকা পাঠিয়েছি। আমার নামে বাড়ি করার জন্য গ্রামে ১৩ শতক জমি কিনতে বলি। ওই জমিও নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন ফাতেমা। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি এর বিচার চাই।

ইমরুল লস্কার তার তালাবদ্ধ বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন। এসময় তার সঙ্গে বিদেশ থেকে আনা কয়েকটি লাগেজও দেখা যায়।

ইমরুল লস্ককরের এই অবস্থা দেখে প্রতিবেশীরা ফাতেমা বেগমের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন। কয়েকদিন ধরে ইমরুলের বাড়ির বিল্ডিং ও সীমানা প্রাচীরের গেটে তালা ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশী মুজিবর মোল্লা। তিনি বলেন, কালিয়ার চাঁদপুর গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কবিরের সঙ্গে ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে শুনেছি। সম্ভবত তার কাছে চলে গেছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফাতেমা বেগমের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে ফাতেমার বাবা হাসেম শেখ ও মা ভ্যাগা বেগম বলেন, মেয়ে কোথায় গেছে জানি না। তবে জামাই ইমরুল তার নামে টাকা-পয়সা পাঠাতেন ও বাড়ি কিনে দিয়েছেন।

টাকার পরিমাণ ৯৭ লাখ হবে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, ৯৭ লাখ টাকা হবে কি না জানি না। তবে ইমরুল ফাতেমার নামে টাকা পাঠিয়েছেন ও বাড়ি করে দিয়েছেন।

এদিকে এ বিষয়ে কালিয়ার থানার ওসি কনি মিয়া শেখের সঙ্গে আলাপ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি তিনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

About

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *