নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সংলাপের ডাক দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তবে তার সংলাপে অনেক রাজনৈতিক দল আপত্তি জানিয়েছে।এছাড়াও বেশ কিছু রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপ করেছে। তবে সংলাপে আপত্তি জানানোর দলে রয়েছে বিএনপি দলও। সম্প্রতি বিএনপি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপ নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ তুলে বেশ কিছু কথা বললেন।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপি যাবে না বলে আবারও জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কীসের সংলাপ? এই সংলাপ ইতোমধ্যেই অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করেছে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি- এই সংলাপে কোনো লাভ হবে না। অর্থহীন সংলাপ। যদি নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। আমাদের পরিষ্কার কথা, সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তারপর পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিন। এটা একমাত্র পথ, এর বাইরে আর কোন পথ নেই।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন জনগণের দাবি, এটা গণদাবি। এই দাবি অবশ্যই সরকারকে মেনে নিতে হবে। যদি সরকার এই গণদাবি মেনে না নেয়, তাহলে গণদাবি অস্বীকার করার জন্য অতীতের সরকারগুলোর যে অবস্থা হয়েছে এই সরকারের সেই পরিনাম ভোগ করতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। গত দেড় থেকে দুই মাস নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি। সারাদেশে আমাদের অসংখ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি সমাবেশ থেকে লাখো মানুষের কণ্ঠে একটি আওয়াজ এসেছে- খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।
বিএনপি দল আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে। এবং দাবি পূর্ন না হলে বিএনপি দল নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না বলেও জানিয়েছে। এছাড়াও বর্তমান সময়ে বিএনপি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিশর্ত মুক্তি ও তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে বিশেষ আহ্বান জানিয়েছে।