টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামীলীগ দল। এই দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামীলীগ দল ক্ষমতায় থাকায় প্রায় সময় নিজ দলের নেতাকর্মীরা একে অন্যের সাথে পদ-পদবি নিয়ে বির্তকে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি এই দলের অনেক নেতাকর্মীরা প্রায় সময় দলীয় শৃঙ্খলাও ভঙ্গ করছে। তবে এবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বেয়াই ডা. একেএম জাফর উল্যাহ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) প্রার্থী হতে চাওয়া ডা. একেএম জাফর উল্যাহকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ তাকে এ অব্যাহতি দেয়। তিনি ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে নিজেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে ওই এলাকায় শুভেচ্ছা পোস্টার লাগান ডা. একেএম জাফর উল্যাহ। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে এ কে এম জাফর উল্যাহর ছবি সংবলিত সেই শুভেচ্ছা পোস্টার ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শোভা পাচ্ছে। এতে লেখা আছে, আগামী ২০২৩ সালের সংসদ নির্বাচনে অবহেলিত ও বঞ্চিত কবিরহাট এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন এবং শান্তির আবহসৃষ্টির লক্ষ্যে নোয়াখালী-৫ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে পেতে চাই। ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহ (কাশেম) ভাই আপনাদের দোয়া ও সমর্থনপ্রত্যাশী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রমের কারণে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি আওয়ামীলীগ দল নিজ দলের মধ্যে থাকা বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এবং ইতিমধ্যে বেশ কিছু বিরোধী নেতাদের শনাক্ত করে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে দলটি। এছাড়াও দলের মধ্যে থাকা সকল বিরোধেদের জন্য তালিকাও করছে দলটি।