বর্তমান সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। এবং তিনি এই বিষয়ে দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ধরনের সংলাপ করছেন। তবে তার এই সংলাপ নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল আপত্তি জানিয়েছে। এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে কিছু পরামর্শ দিয়েছে দলগুলো। এবার এই বিষয়ে বেশ কিছু কথা বললেন বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় সুপরিচিত চেনা মুখ ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, মা/ফি/য়া/রা বিনা ভোটে সরকার গঠন করেছে। তারা ভাবছে এভাবেই দিন পার হবে। টাকা-পয়সা ইউরোপ-আমেরিকায় জমা রাখবে। দেশের মানুষ ফুঁসে উঠলে প্লেনের চাকা ধরে অথবা সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাবেন, সেই সুযোগ আপনারা পাবেন না। শুক্রবার নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, মা/ফি/য়া সরকারের পতনের বছর এটি। প্রশাসনকে বলছি- আপনারা সিদ্ধান্ত নিন, মা/ফি/য়া/দের রক্ষা করবেন না কি জনগণের সঙ্গে থেকে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন। আপনারা যদি ভুল করেন, তাহলে কিন্তু খেসারত আপনাদেরই দিতে হবে। নুরুল হক নুর বলেন, ক্ষমতাসীনদের পাপে চারদিক ভারী হয়ে গেছে, পাপের ফল ভোগ করতে হবে। সবার কাছে ক্ষমা চান, তাহলে ফল কিছুটা কম ভোগ করতে হবে। ‘তামাশার সংলাপ’ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন, নিরপেক্ষ সরকার, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা বসুন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সরকারি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নুর বলেন, আপনাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে। কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের কারণে আওয়ামী লীগের মতো একটি দলকে ফ্যাসিবাদের চরিত্র নিয়ে আজ রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হচ্ছে। গায়ের জোরে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হচ্ছে। যারা প্রকৃত আওয়ামীলীগ, তারা দু/র্বৃত্ত/দে/র সঙ্গ পরিহার করুন। বাংলাদেশের একটি বাহিনীর ওপর আমেরিকার দেওয়া নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে নুর বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই। আরও বিভিন্ন ব্যক্তির নামে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জনের ভিসা বাতিল হচ্ছে। ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, বর্তমানে কত অপকর্ম চলছে, মন্ত্রী বউ পেটান। এটিই বিনা ভোটের সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের আসল চেহারা। তারা বউ পেটান, নারী কেলেঙ্কারি করেন, সেগুলোর দায় নেই; কিন্তু একজন আলেম স্ত্রী নিয়ে রিসোর্টে গিয়েছিলেন, সেজন্য কী করা হয়েছিল, সমগ্র জাতি তা দেখেছে।
ইউপি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে নুর বলেন, এ পর্যন্ত ৫ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ১৫৭ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ৬৯২টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। একজন অপদার্থকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেই লোক বলে সহিংসতার দায় তার নয়। আরেকজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার যখন বিভিন্ন সত্য কথা বলেন, তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন নিশ্চয়ই তার বিশেষ এজেন্ডা রয়েছে। মানববন্ধনে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াসহ গণ অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে দেশের ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে বেশ বিপাকে বাংলাদেশের সরকার প্রধান। এবং দেশের বিভিন্ন মহলে সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন।