বেশ কিছুদিন যাবতই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে চলছে কথোপকথন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের বৈঠকে বসেও কোনো সমঝোতায় আসা এখনো সম্ভব হয়নি। এখানে বিভিন্ন দলের রয়েছে বিভিন্ন রকম মতামত। সরকারের অধীনে না থেকে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার প্রস্তাব বেশ কয়েকটি দলের। বারবার বসেও সমাধান না আসায় কিছুটা বিরক্ত বেশিরভাগ দলই। তাইতো এবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট তার মুখ খুলে বসলেন। সাথে জানালেন আরো অনেক কথা।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের নামে যা হচ্ছে তা হলো চা-চক্র। আগেও আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।
এই সংলাপে যাওয়া অর্থহীন।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
কর্নেল অলি আহমদ বলেন, রাষ্ট্রপতি ভালো মানুষ। তার কোনো ক্ষমতা নেই। তিনি সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ। স্পিকার থেকে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, চা খেতে এবং জনগণের টাকা নষ্ট করতে বঙ্গভবনে যাবো না।
নিজের আত্মসমালোচনা করে কর্নেল অলি বলেন, আজকে এই সংকটের পেছেনে আমিও দায়ী। এজন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাই। ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়াতে যে প্রক্রিয়া হয়েছে তাতে আমারও অনেক ভূমিকা ছিল। তখন যদি আমি বুঝতাম তাহলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতাম।
এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, ড. নিয়ামুল বশির, অ্যাডভোকেট মনজুর মোর্শেদ, সহ সভাপতি ডক্টর আবু জাফর সিদ্দিকী, যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, বিলাল হোসেন মিয়াজি, অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এলডিপি মহাসচিব ডক্টর রেদোয়ান আহমেদ ক্ষমা চেয়েছেন জনগণের কাছে, রাষ্ট্রপতির থেকে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে তাঁর অবদানের কথা স্বীকার করে। তবে সেই আইনে এখন নিজেই ভুক্তভোগী। তবে বর্তমান রাষ্ট্রপতির প্রশংসাও করেছেন তিনি। তবে এসব মতামতে হয়তো সমাধান মিলবে না। এখন প্রশ্ন তাহলে সমাধান কোথায়? শুধু অপেক্ষা আর দেখার বিষয় কতদূর এর সমাধান। কিভাবে গঠন হবে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন, সেইসাথে নির্বাচন কমিশন গঠনের অংশ নেবেন কোন কোন দল।