অনেক আগে থেকেই ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন আমিনুল ইসলাম (২২)। আর এ স্বপ্নের কথা প্রায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করতেন তিনি। তবে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এ স্বপ্ন পূরন হলেও, দুর্ভাগ্যবসত আর বেঁচে ফেরা হলো না তার। জানা যায়, স্বপ্ন পূরনের জন্য রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর জন্য ধরেছিলেন ভুল পথ। দালালের মাধ্যমে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে ধরেছিলেন ইতালির পথ। ধরা পরে যান লিবিয়াতে। সেখানে জেল থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আমিনুল মারা যান বলে জানিয়েছেন তার সঙ্গে থাকা একজন।
রবিবার (০২ জানুয়ারি) ওই ব্যক্তি আমিনুলের পরিবারকে এ তথ্য জানান। তার দাবি, আমিনুলকে সেদেশেই দাফন করা হয়েছে।
নিহত আমিনুল উপজেলার খশির আবদুল্লাহপুর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর খানেক আগে ইউরোপ যাওয়ার জন্য দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় পাড়ি জমান আমিনুল ইসলাম। তিন মাস পূর্বে ইতালির উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় আটক হন লিবিয়া পুলিশের হাতে। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়নি। রবিবার বিকেলে লিবিয়ায় অবস্থানরত বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের এক যুবক ফোনে আমিনুলের মৃত্যুর খবর জানান।
ওই ব্যক্তি পরিবারকে জানান, আমিনুল জেল থেকে পালাতে চাইছিলেন। এ সময় পুলিশের গুলিতে সে মারা গেছেন। নিহতের পর আমিনুলকে সেদেশেই দাফন করা হয়েছে।
আমিনুলেন বাবা সিএনজিচালক আলাউদ্দিন বলেন, ‘সহায় সম্বল বিক্রি করে ছেলেকে ইতালি পাঠানো উদ্দেশ্য লিবিয়ায় পাঠিয়েছিলাম। জেলে যাওয়ার আগে প্রায় ফোনে কথা হত। কিন্তু গত তিন মাস থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। যে দালালের মাধ্যমে তাকে পাঠিয়ে ছিলাম তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমিনুলের কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। গত রবিবার আমার পরিবারের ফোনে লিবিয়া থেকে একজন ফোন করে জানায় আমিনুল পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন।
এদিকে আমিনুলের মৃত্যুর খবরে রীতিমতো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পরিবার-স্বজনরা। তার এ অকাল মৃত্যু যেন কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। তবে নিহত আমিনুলের বাবা জানিয়েছেন, তারা এখনও অফিসিয়ালি তার মৃত্যুর খবর পাননি।