সম্প্রতি কিছুদিন আগেই ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে একটি যাত্রীবোঝাই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে যেন নেমে আসে শোকের কালো ছায়া। এ দু্র্ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক। এছাড়াও এখনও সন্ধান মেলেনি অনেকের। তবে দিন যতই যাচ্ছে, ততই যেন একের পর এক আছে মৃত্যুর সংবাদ। সেই ধারাবাহিকতায় এবার পরিবারের পাঁচজনের পর চলে গেলেন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রাসেলও
জানা যায়, রাসেল শেখের দুই ছেলে জীবন (১১) ও ইমনের (৯) এখনো খোঁজই মেলেনি। তাঁর শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম (৬০), শ্যালক কালুর স্ত্রী রুমা বেগম (২০) ও রুমার মেয়ে অহনার (৫) দগ্ধ মরদেহ আগেই উদ্ধার হয়েছে। ২৮ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন রাসেল। গতকাল সোমবার তিনিও চলে গেছেন। অভিযান-১০ দুর্ঘটনায় তিনিসহ পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হলো।
শ্যালক কালু (৩৫) ও শ্যালক রবিনকে (৩০) দগ্ধ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা এখনো বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
রাসেলের ছোট ভাই মুন্না শেখ বলেন, ‘লঞ্চের আগুন ভাইয়ের পুরো সংসার শেষ করে দিল। দুটি বাচ্চার মৃত্যুর শোক পেছনে ফেলে তাঁদের নিয়ে আমরা হাসপাতালে ছুটছি। ভাইকে ধরে রাখতে পারলাম না।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, ‘যারা ভর্তি আছেন, প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এ কারণে কেউই শঙ্কামুক্ত নন।’
এদিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়ার উদ্দেশ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই মুহুর্তে আইসিইউতে রাসেলের মতোই সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন আরও দুইজন নারী। এর বাইরে আরও ১০ জন রয়েছেন, তাবে তারা কিছুটা বিপদমুক্ত বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।