সম্প্রতি গত কয়েকদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ আলোচনায় রয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। বিশেষ করে, নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর থেকেই নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে। তবে এ সব সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে রীতিমতো নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
আর এদিকে এবার নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিনি বলেছেন, ‘সরকারি দলের ব্যাপারে আমি কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চাই না। জনগণ মতামত দেবে। জনগণের দৃষ্টিই আমার দৃষ্টি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, কালো টাকা আমি চোখেও দেখিনি, এ সম্পর্কে আইডিয়াও নেই।
আমার স্লোগান হচ্ছে, ‘নিজের খাইয়া তৈমূর’।
আসন্ন নাসিক নির্বাচনে তার কোনো খরচ নেই দাবি করে তিনি বলেন, আমি যে নির্বাচন করছি আমার এক টাকাও খরচ হচ্ছে না। শুধু আমার নিজের গাড়ি দিয়ে ঘুরি, সেই গাড়ির তেল খরচ আমার। বাকিটা যার যার খরচ সে বহন করে। ’
আজ সোমবার সকালে বন্দরের ২৩ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে তৈমূর বলেন, ‘আমি সিটি করপোরেশনকে জনমুখী করব। এর আগে আমি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি। সেগুলোকেও আমি জনমুখী করে তুলতে সক্ষম হয়েছি। আমি হব জনগণের এবং জনগণ হবে আমার। যেখানে যে সমস্যা আছে, প্রশাসন-আমলাদের ওপর নির্ভর না করে জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ’
বিএনপিকে কি ষড়যন্ত্র করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা হবে? প্রশ্ন রেখে তৈমূর বলেন, ‘ছবিই কথা বলবে। আপনি কী বলতে চান মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা নৌকায় ভোট দেবে। বিএনপিকে কি ষড়যন্ত্র করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা হবে? জনগণের নিজস্ব চিন্তা আছে। জাতীয় রাজনীতি আর স্থানীয় রাজনীতি এক নয়। আজকে সরকার জনগণকে ঝামেলায় ফেলে দিয়েছে স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করে।
স্থানীয় জনগণ গিনিপিগ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ নিজস্ব সত্তা নিয়ে চলে। সেই চিন্তা-চেতনা নিয়েই নারায়ণগঞ্জের ভোটার ট্যাক্স হোল্ডাররা এগোচ্ছে।
এবারের নির্বাচন জনগণ বনাম নৌকার হবে মনে করে তিনি বলেন, আমি যেমন বিএনপি তেমনি নারায়ণগঞ্জবাসী। নারায়ণগঞ্জের মানুষের সুখ-দুঃখের সাথে আমি জড়িত। তাই নারায়ণগঞ্জবাসীর ডাকে আমি আসব না, এটা হতে পারে না। ’
‘আমি যে কথাগুলো মেয়রের ব্যর্থতার ব্যাপারে বলছি, এটা মেয়রের বিরুদ্ধে না। সেটা হলো হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। পানির জন্য অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকা নিচ্ছে। প্রতি বছরই ট্রেড লাইসেন্সের ফি বাড়ায়। জন্মনিবন্ধন করতে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এগুলো সত্য না মিথ্যা আপনার হাতের কাছেই সাক্ষী আছে। জনগণই বলবে আপনাকে। ’
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেলিনা হায়াত আইভী। আগামী ১৬ জানুয়ারি শুরু হবে এ নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্য প্রচার-প্রচারণা নিয়ে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।