সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। এমনকি বিশ্ব দরবারটে অর্জন করেছে উন্নয়নের রোলে মডেল হিসেবে বিশেষ স্বীকৃতি। এছাড়াও বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে। বাংলাদেশের এই সফলতাকে অভিন্নদন জানিয়ে এক ভিডিও বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র। বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
জাতিসংঘ ঘোষিত স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, সামান্থা পাওয়ার। রোববার (২ জানুয়ারি) ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের টুইট বার্তায় সামান্থাকে এক ভিডিও ক্লিপে অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়। মিলার নিজেও বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে আসন্ন উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন!’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘মহান কবি’ আখ্যা দিয়ে তার কাণ্ডারী হুঁশিয়ার কবিতার প্রসঙ্গ টেনে সামান্থা বলেন, “৫০ বছর আগে স্বাধীনতার পর থেকে, আপনাদের জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতি সাধনে এবং প্রবৃদ্ধির সুযোগ উন্মোচনে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে গর্বিত মনে করে। আমরা যখন এই অসাধারণ অগ্রগতির দিকে তাকাই, তখন আমরা দেখতে পাই- বাংলাদেশ সফল হয়েছে। কারণ এটি সে সকল চাহিদার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল যাকে মহান কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘ভগ্ন হৃদয়’ বলেছেন।”
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কৃষকদের দারিদ্র্য দূর করতে, অর্থনৈতিকভাবে নারীদের ক্ষমতায়নে এবং জনগণের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে বিনিয়োগ করেছে এবং সেসব কাজে লাভও পাওয়া গেছে দাবি করে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পরের তুলনায় ধানের উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে নবজাতকের মৃ/ত্যু/হার দুই-তৃতীয়াংশ কমেছে। গত ২০ বছরে দারিদ্র্যের হার জাতীয়ভাবে অর্ধেকে নেমে এসেছে।” তবে এসব সাফল্য অর্জন করাটা সহজ ছিল না স্বীকার করে সামান্থা বলেন, এগুলোকে ভিত্তি করে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মহামারি এবং শরণার্থী সংকট কাটিয়ে এগিয়ে যেতে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি অবিরত প্রতিশ্রুতি দরকার।
নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নিজেদের নাম লেখাতে হয়েছে। তবে এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে বর্তমান সময়েও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করছে।