বাংলাদেশের বিনোদন জগতের সুপরিচিত ও জনপ্রিয় চেনা মুখ ডিপজল। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত রয়েছেন। এবং অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তিনি মূলত ঢাকাই সিনেমায় খলচরিত্রে অভিনয় করে থাকেন। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক-প্রযোজক হিসেবেও কাজ করে থাকেন। সম্প্রতি তিনি ওয়েবসিরিজ নির্মানে যাত্রা শুরু করেছেন। এই বিষয়ে তিনি নিজেই জানালেন বিস্তারিত।
চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল ঘোষণা দিয়ে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করে যাচ্ছেন। প্রযোজক হিসেবে পেয়েছেন সফলতা। সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোর বিশেষ এক ক্ষমতা আছে তার। মনতাজুর রহমান আকবরের পরিচালনায় প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে নাম লিখিয়েছেন। শনিবার (১ জানুয়ারি) থেকে ‘জি/ম্মি’র শুটিং শুরু করেছেন এই ‘ডে/ঞ্জার ম্যান’।
ওয়েবসিরিজ নির্মাণের পেছনের গল্পটা জানতে চাই…
ডিপজল: আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। চলচ্চিত্রই আমার ধ্যানজ্ঞান। এর বাইরে অন্যকিছু ভাবি না। তবে প্রযুক্তিকেও অস্বীকার করা যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতারা ওয়েবসিরিজ নির্মাণ করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দিচ্ছেন। আমরাও পিছিয়ে থাকতে পারি না। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদেরও চলতে হবে। আমরাও যে বিশ্বমানের ওয়েবসিরিজ নির্মাণ করতে পারি, তা দেখাতে চাই।
‘জিম্মি’-তে নতুন মুখদের নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
ডিপজল: আমি নতুন ছেলে-মেয়েদের নিয়েই কাজ করছি। সামনেও করবো। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে পরিচিত মুখদেরও নেব।
সামনে শিল্পী সমিতির নির্বাচন, আপনাকে প্রার্থী হিসেবে পাওয়া যাবে?
ডিপজল: আমার নির্বাচন করার ইচ্ছা নাই। তারপরও আমাকে ছাড়ছে না। হয়তো সহ-সভাপতি বা যেকোনো একটি পদে নির্বাচন করতে পারি।
সভাপতি পদে নয় কেন?
ডিপজল: সভাপতির পদে নির্বাচনের সময় নাই আমার। নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
আগামী নির্বাচনে প্যানেল বদলের কোনো সম্ভাবনা আছে কী?
ডিপজল: আমি দল বদল করার লোক না। নির্বাচন করলে মিশা সওদাগর-জায়েদ খানের প্যানেল থেকেই করবো। কারণ তারা যেভাবে গরিবের পাশে থেকেছে, আমার মনে হয় শতভাগ করেছে।
নতুন বছরের প্রত্যাশা কী?
ডিপজল: কোনো কিছু অগ্রিম বলা ঠিক না। কথা দিয়ে যদি কথা রাখতে না পারি তখন বিষয়টা ভালো দেখায় না। বছরের প্রথম দিন ওয়েবসিরিজ শুরু করলাম। ভালো কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাকি সব আল্লাহর উপর।
হলে দর্শক ফেরাতে অনেকেই ভারতীয় সিনেমার পক্ষে…
ডিপজল: ভারতের সিনেমা দেশে আসার পর আমাদের বাংলা সিনেমায় সবচেয়ে বড় ধস নামে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও বাংলাদেশি সংস্কৃতি আকাশ-পাতাল ব্যবধান। সিনেমা আনার চিন্তা না, তারা দেশকে ধ্বংস করার চিন্তা করছেন। ভারতীয় সিনেমা বাংলাদেশের মানুষ দেখতে যাচ্ছে না। ঐসব দর্শকদের ধন্যবাদ জানাই আমি, যারা বাংলা সিনেমার পক্ষ নিয়ে ভারতীয় সিনেমা বয়কট করছে। আমার মনে হয়, বাংলা সিনেমার যে ধারাটা চলে গেছে সবাই মিলে যদি আবার চেষ্টা করে, তাহলে আগের জায়গায় আসবে, ইনশাআল্লাহ।
ডিপজল খলচরিত্রে অভিনয় করলে বেশ কিছু দিন ধরে তিনি কয়েকটি সিনেমায় নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত কাজ গুলো দর্শক মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। তিনি তার অভিনয় জগতের ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা।