Thursday , December 26 2024
Breaking News
Home / National / শেষ পর্যন্ত জানা গেল, সিটি নির্বাচনের জন্য কত টাকা খরচ করছেন আইভি-তৈমুর

শেষ পর্যন্ত জানা গেল, সিটি নির্বাচনের জন্য কত টাকা খরচ করছেন আইভি-তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মুহুর্তে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমূর আলম খন্দকার। নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বেশ আলোচনয়াও রয়েছেন তারা। আর এদিকে এবার সামনে এলো, আসন্ন এ নির্বাচনে দুই প্রার্থীর কে কত খরচ করবেন এর তালিকা।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) মেয়র প্রার্থীদের হলফনামাতে কে কত টাকা নির্বাচনে খরচ করবেন তা তুলে ধরেছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী সম্ভাব্য নির্বাচনী খাতে ব্যয় ধরেছেন ২০ লাখ টাকা। এই অর্থের উৎস মেয়র হিসেবে প্রাপ্ত সম্মানী ও বেতন ভাতা।

নির্বাচনে পোস্টার সংখ্যা রেখেছেন ১ লাখ, এতে ব্যয় হবে ৫ লাখ টাকা। নির্বাচনী ক্যাম্প করবেন ৩টি, এতে খরচ হবে ৬০ হাজার টাকা। ক্যাম্পে কর্মীদের জন্য খরচ করবেন ৯০ হাজার টাকা। মোট ব্যয় হবে দেড় লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় ক্যাম্প অফিসে কর্মীদের জন্য খরচ করবেন ১ লাখ টাকা। নির্বাচনী যাতায়াত খরচ করবেন ৫০ হাজার ও কর্মীদের জন্য খরচ করবেন ১ লাখ টাকা। আসবাবপত্র ভাড়া ধরেছেন ২০ হাজার টাকা।

লিফলেটের জন্য বিশ্বাস প্রিন্টার্সে দেড়লাখ লিফলেট ছাপাবেন। এতে খরচ হবে ১ লাখ টাকা। একই প্রেসে হ্যান্ডবিল তৈরি করবেন ১ লাখ, যার খরচ ধরেছেন ৭৫ হাজার টাকা। ডিজিটাল ব্যানার তৈরি করবেন ২০০টি, যার মুদ্রন খরচ ১ লাখ ২০ হাজার ও টানানো বাবদ খরচ ২০ হাজার টাকা। পথসভা করবেন ৫০টি যার মাইক বাবদ খরচ ২০ হাজার টাকা। মাইকিংয়ের জন্য বাহনের খরচ ৫০ হাজার, কর্মীর খরচ ৫০ হাজার এবং মাইকিংয়ের ভাড়া ৩০ হাজার ধরা হয়েছে।

পোট্রেট তৈরি করা হবে ১০০টি যার খরচ ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। প্রতীক তৈরি করবেন ১০০টি যার খরচ ৫০ হাজার টাকা। ৫০টি অফিসে আপ্যায়ন খরচ ধরেছেন দেড়লাখ টাকা। কর্মীর সংখ্যা দেখিয়েছেন ১৫০০ জন, তাদের পেছনে খরচ হবে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। জামানত, সিডি প্রিন্ট, সিডি ক্রয় মনোহরী ও অন্যান্য খরচ রেখেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। টেলিভিশন বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য কোনো খরচ রাখেননি।

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তার হলফনামায় সম্ভাব্য নির্বাচনী খরচ ধরেছেন ২০ লাখ টাকা। এর ভেতর নিজের অর্থ রয়েছে ৫ লাখ, যার উৎস আইন পেশা ও বাড়ি ভাড়া। অন্যান্য উৎসের মধ্যে কন্যা মার-ই-য়াম খন্দকার থেকে ১ লাখ, কন্যা নুসরাত খন্দকার থেকে ৫ লাখ, দুজন স্বজন থেকে ১০ লাখ নিচ্ছেন।

নির্বাচনী খরচে ১ লাখ পোস্টার তৈরিতে ব্যয় করবেন ৩ লাখ টাকা। নির্বাচনী ক্যাম্প করবেন ২৭টি এবং তাতে ব্যয় হবে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ক্যাম্পের কর্মীদের জন্য খরচ ধরেছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় ক্যাম্প স্থাপনে খরচ করবেন ৫ হাজার টাকা, অফিস কর্মীদের ব্যয় ৭৫ হাজার টাকা। নির্বাচনী এজেন্টের খরচ ১ লাখ ৮ হাজার টাকা, কর্মীদের সম্ভাব্য খরচ ১ লাখ টাকা।

সভা আয়োজনের জন্য শ্রমিক পারিশ্রমিক রেখেছেন ৯০ হাজার টাকা, আসবাবপত্রের ভাড়া ৭৫ হাজার টাকা। মোল্লা প্রিন্টিং প্রেসে ২ লাখ লিফলেট তৈরিতে ব্যয় করবেন ৩৮ হাজার টাকা। একই প্রেসে ৫ লাখ হ্যান্ডবিল তৈরিতে ব্যয় করবেন দেড়লাখ টাকা।

ডিজিটাল ১০০টি ব্যানার তৈরিতে খরচ করবেন ৪৫ হাজার টাকা ও টাঙানো বাবদ ১০ হাজার টাকা। ৩০টি পথসভায় মাইক বাবদ খরচ করবেন ৯০ হাজার টাকা। মাইকিংয়ের জন্য বাহন ভাড়া ২০ হাজার, ব্যক্তি পারিশ্রমিক দেড়লাখ ও মাইকিং ভাড়া রেখেছেন ৭৫ হাজার টাকা। পোট্রেট তৈরিতে খরচ রাখেননি তৈমূর। ২০০ প্রতীকের জন্য খরচ করবেন ৫০ হাজার টাকা। ১টি অফিসে আপ্যায়ন খরচ রেখেছেন ৩০ হাজার টাকা। ১০০ কর্মীর জন্য খরচ করবেন দেড়লাখ টাকা। মিডিয়া ও বিবিধ খাতে কোনো খরচ রাখেননি তৈমূর।

নারায়ণগঞ্জে আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর আসন্ন এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণা নিয়ে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছেন এই দুই মেয়র প্রার্থী। দুজনেই আশাবাদি, এবারের এ সিটি নির্বাচনে ভোটাররা তাদের মনোনীত প্রার্থীকেই বেঁছে নেবেন।

About

Check Also

মারা যায়নি আবু সাঈদ, আছেন ফ্রান্সে রনির এমন মন্তব্যে নিয়ে যা জানা গেল

সম্প্রতি টিকটকে পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *