সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুবাদে পরিচয়, অতঃপর দীর্ঘদিন প্রেমের পর গত প্রায় মাস তিনেক আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রেমিক হাসিবুরের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন লাবিবা ফারহানা শ্রাবণী। কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই অনেক ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে শ্রাবণীকে নির্যাতন করতে শুরু করেন হাসিবুর। তবে এরপরও সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন শ্রাবণী। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত স্বামীর সংসার করা হলো না তার, এরই মধ্যে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েই প্রাণ হারাতে হলো তাকে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামে শ্রাবণীর স্বামীর বাড়িতে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী হাসিবুর বিশ্বাস ও তার পরিবারের সদস্যরা শ্রাবণীকে হত্যা করেছে।
এদিকে ঘটনার পর নিহত শ্রাবণীর স্বামী হাসিবুর ও তার পরিবারে সবাই পালিয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানায়, যাদবপুর গ্রামের হেমায়েত বিশ্বাসের ছেলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র হাসিবুর আর খুলনা তেরোখাদা উপজেলার হাঁড়িখালি গ্রামের ফারুক শেখের মেয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী শ্রাবণীর ফেসবুকের পরিচয় প্রেমে গড়ানোর বিষয় জানাজানি হলে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে তিন মাস আগে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পরে দুই মাস না যেতেই পারিবারিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে হাসিবুর শ্রাবণীকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। শনিবার বিকেলে হাসিবুরের এলোপাথাড়ি আঘাতে শ্রাবণী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎক মৃত ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে কালিয়া থানার ওসি শেখ কনি মিয়া গণমাধ্কে জানান, এ ঘটনায় নিহত ঐ গৃহবধুর স্বামীসহ বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এদিকে শ্রাবণীকে হারিয়ে রীতিমতো মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন পরিবার-পরিজন। এ ঘটনায় সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন।