আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে সম্প্রতি গত বেশ কিছুদিন ধরে নানা আলোচনায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। বিশেষ করে, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই দুজনের বিরুদ্ধে উঠছে নানা অভিযোগ। যদিও এ সকল অভিযোগকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা।
তবে অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবার মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘সারা বছর সংসদ সদস্য শামীম ওসমান আমার নামে যে, অভিযোগগুলো করতেন এখন তৈমূর আলম খন্দকারও সে অভিযোগগুলোই করছেন। আমি জানি না, তিনি কী দ্বারা প্রভাবিত কিনা? তবে, এ বিষয়ে এখন কথা বলতে চাই না’।
‘আমাদের সবকিছুই টেন্ডারের মাধ্যমে হচ্ছে। এখানে কোন সিন্ডিকেট করে কাউকে কাজ দেওয়ার উপায় নেই। তিনি না জেনে কারো শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন। আগের দুই নির্বাচনে যে, অভিযোগগুলো ছিল, সেগুলোই বলছেন তিনি, নতুন কোন অভিযোগ আনতে পারছেন না’।
শনিবার (১ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিগঞ্জের বটতলা এলাকায় গণসংযোগের সময় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইভী এসব কথা বলেন।
আইভী বলেন, ‘তৈমুর আলম খন্দকার যে অভিযোগগুলো করছেন সেগুলো আগেও অনেকে করেছেন, জেনে হোক বা না জেনে হোক’।
এতদিন সেভাবে কাজ করতে পারেননি জানিয়ে আইভী বলেন, ‘প্রথম মেয়াদে তেমন কাজ করা সম্ভব হয়নি। তখন সিটি করপোরেশন গঠন পুনবিন্যাসে সময় লেগেছে। আমি গত পাঁচ বছরই কাজ করতে পেরেছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী অনেক টাকা দিয়েছেন, যা দিয়ে প্রচুর কাজ করেছি। এছাড়াও কিছু কাজ আছে সেগুলো চলমান। সিদ্ধিরগঞ্জে বিশাল খাল আছে সেটা খনন করা হবে। এখানে মাঠ ও কবরস্থান দরকার, আমি এগুলো করে দেবো’।
ব্রিজের প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘শীতলক্ষ্যা ব্রিজের টেন্ডার প্রায় সম্পন্ন। তবে, আমরা করোনা ভাইরাসের জন্য অনেকটা পিছিয়ে আছি। কাজটা প্রায় শেষের দিকেই। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আমার মা-বোনেরা ভাইয়েরা আমাকে ভোট দেবেন।
এদিকে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সহযোগীতা করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্য আইভীকে সবরকম সহযোগীতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।