নির্বাচনী প্রচারণার সুবাদে ভোটের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন প্রার্থীরা। তবে প্রতিশ্রতি দিতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা উসকানি মূলক বক্তব্যও দিতে দেখা যায় অনেক প্রার্থীদের। আর এরই ধারাহিকতায় সম্প্রতি এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লাতেও। এ ঘটনায় রীতিমতো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ইতিমধ্যে ঐ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, আমি এই জনসভায় বলে যাচ্ছি, যখন নমিনেশন নিয়া আসছি তখন এটা আমার নির্দেশ। মাইর খাওয়া যাবে না। যদি ১০টা মার্ডারও করা লাগে করবেন। আমি বাকিটা দেখবো-ইনশাআল্লাহ।‘
পরবর্তীতে জানা যায়, নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. আউয়াল খাঁনের ছেলে মিজানুর রহমান।
এক মিনিট দুই সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান আরো বলছেন, ‘আমি এই জনসভায় বলে যাচ্ছি, আমার একটা লোকের যদি এক ফোটা রক্ত ঝরে, আপনারা ১০ ফোটা রক্ত নিয়ে আসবেন, বাকিটা আমি দেখব। চুল পরিমাণও ছাড় দেব না। মিজান কী জিনিস এখনো জোয়াগ ইউনিয়নের অনেক লোক জানে না। যখন নমিনেশন নিয়া আসছি তখন থেকে জানা উচিত, মিজান কী জিনিস?’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. আউয়াল খাঁন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং থানা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি তার ছেলে মিজানুর রহমানের।
ভিডিওটি ১৫ থেকে ২০ দিন আগের। উঠান বৈঠকের একটি সভায় এসব কথা বলেছিলেন মিজানুর রহমান।
ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘এসব ভিডিও এডিট করা। আমি থানায় মামলা করব এই অপপ্রচারের জন্য।’
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি।’
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ঐ ভিডিও’র সূত্রে চান্দিনা থানার ওসি আরিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন বলে দাবি করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ইতিমধ্যে এ ঘটনায় অবগত হয়েছেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।