সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর এত বছর পেরিয়ে গেলেও, এখনও যেন প্রতিটি বাঙালীর মাঝে বেঁচে রয়েছেন তিনি। দেশ ও জাতির জন্য তার আত্মত্যাগের কথা কখনও ভুলবে না এ বাংলার মানুষ। সর্বদাই সবার অন্তরে বেঁচে থাকবেন তিনি। আর এদিকে এবার বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এম এন হান্নানের এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামের মানুষ সাহসী, বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়। এই চট্টগ্রাম স্বাধীনতার ঘোষক এম এন হান্নানের চট্টগ্রাম। সূর্যসেন, প্রীতিলতা, এম এ হান্নানের মত বীর সন্তানের জন্ম এই চট্টগ্রামে। আজ ২৯ ডিসেম্বর (বুধবার) চান্দগাঁও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চত্বরে চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসন চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, মোহরা, পূর্ব ষোলশহর, পশ্চিম ষোলশহর ও আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
তিনি আরো বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস প্রকাশ হলো, কালুরঘাট নয় চান্দগাঁও বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ ১৯৭১ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা হয় সেটিই আজকে প্রকাশ হলো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে হান্নান ভাইয়ের সেই ঘোষণাটি এই স্থানে এসে বার বার মনে পড়ছে। ঢাকার পিল খানার ঘোষণাটি অনেকে শুনলেও অনেকে শুনেন নাই। ২৬ তারিখ চট্টগ্রামে এম এ হান্নানের সেই স্বাধীনতা ঘোষণা শুনেই সকলে দেশের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি বলেন, আমি মোছলেম ভাইয়ের সকল দাবীর সাথে সহমত পোষন করছি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-৮ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, চান্দগাঁও স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের স্থাপনা সংরক্ষণ, স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল ও জাদুঘর নির্মাণ এ দাবি চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের এর সাথে আমিও একমত। তিনি বলেন, শ্রীঘ্রই কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে। উন্নয়নের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের শেখ হাসিনা সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয়ের স্বাদ বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছিয়ে দেবার মানসে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিরামহীন প্রচেষ্টার ফলে দেশ আজ উন্নতির সোপানে অধিষ্ঠিত হয়েছে। ২১ সালের টার্গেট ইতিমধ্যে পূরণ হয়ে গেছে। যত দিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই মানবতা, শান্তি ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আজ সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছে বহুদেশ। আগামীতেও যেন এ ধারা অব্যহত থাকে, সেই প্রত্যাশা নিয়ে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।