সম্প্রতি গত বেশকিছু দিন ধরে রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাকে রইলেও তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি ঘটছে না, বরং দিন দিন তার অবস্থা আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে।
আর সেই সূত্র ধরে আজ বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বেগম জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত দু’দিন ধরে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় বিপদ হতে পারে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। গত দুইদিন ধরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বন্ধ হচ্ছে না কোনোভাবেই। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। খনিজের অসমতা দেখা দিচ্ছে। তাই শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
বমি হচ্ছে মাঝে মধ্যে।
বেগম জিয়ার খাবারের তেমন রুচি নেই জানিয়ে ওই চিকিৎসক বলেন, তার খাবারের রুচি তেমন নেই বললেই চলে। স্যুপের বাইরে তেমন কিছু খাওয়ানো যাচ্ছে না। বেশি কথা বলতে পারছেন না। মাঝে মাঝে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ইনসুলিন দিয়ে ডায়াবেটিস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। মোটকথা তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। অতি দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকদের বাইরে খালেদা জিয়াকে দেখতে নিয়মিত হাসপাতালে যান পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি। তিনি বাসা থেকে তরল খাবার রান্না করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে তার বয়স ৭৭ বছর। এ বয়সে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি। নেতাকর্মীদের দাবি, যদি তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দেয়া হয়, তাহলে পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার কিছু হলে এই দায় সরকারকে নিতে হবে।