সম্প্রতি বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছে। অবশ্যে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক ভাবে নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছেন। তার উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএনপি দললের আইনজীবিরা বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি জমা দিয়েছে। এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছে। অবশেষে এই বিষয়ে কথা বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৫তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। এখন আমার যে ব্যাখ্যা সেটি আপনারা জানতে পারবেন। এটি নিয়ে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতির বিষয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তিনি বলেন, এই সরকার ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেছে। বঙ্গবন্ধু হ/ত্যা/র বিচার করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করেছে। এর থেকে বড় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ আর কোনো সরকার নেয়নি।
কক্সবাজারে পর্যটককে সং/ঘ/ব/দ্ধ ধ/র্ষ/ণে/র ঘটনার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক অপরাধ। এ ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠিত ধারণাটি শুধু আইন-আদালতের বিচার-আচার আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপরই নির্ভর করে না। আইনের শাসন এখন অনেকগুলো পারিপার্শ্বিক বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সে দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি, বিচারক বা আইনজীবী ছাড়াও নানা পেশায় ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্যরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।
বর্তমান সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দূর্নীতি মামলায় সাজা ভোগ করছেন বেগম জিয়া। অবশ্যে তিনি এখন জামিনে রয়েছেন। দেশে বৈশ্বিক মহামারি দেখা দিলে বাংলাদেশ সরকার চুক্তির মধ্যে দিয়ে ৬ মাসে জামিন দিয়েছিল। পর্বর্তীতে ২ মেয়াদে সেই জামিনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।