Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Sports / এর মধ্যে বেঁচে থাকতে হলে অন্য একটা পথ বের করতে হবে : সাকিব

এর মধ্যে বেঁচে থাকতে হলে অন্য একটা পথ বের করতে হবে : সাকিব

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেল দলের অন্যতম সেরা তারকা ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেখিয়ে কোটি কোটি ক্রিকেট প্রেমি ভক্তের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত নানা কারনে বিভিন্ন সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে হয় গুণী এই খেলোয়াড়কে। তবে এদিকে এবার শোনা যাচ্ছে, টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নেওয়ার কথা ভাবছেন সাকিব আল হাসান। পরিবারকে সময় দিতে প্রয়োজনে আইসিসি ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে কোনো ম্যাচেও অংশ না নেওয়ার পরিকল্পনা আছে তাঁর। তবে, সব কিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির সঙ্গে আলোচনার পর। জানুয়ারিতে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে এনটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সাকিব। কোয়ারেন্টিনের জন্যই বাছাই করে খেলা ছাড়া আর উপায় দেখেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

নিউজিল্যান্ডে অনুশীলনে নেমে যাওয়া বাংলাদেশ দলটিকে সব হিসাবেই কমজোরি বলতে হবে। সেটা অভিজ্ঞতার বিচারে আরও দুর্বল হয়ে গেছে তামিম ইকবাল ও সাকিবের মতো ক্রিকেটার না যাওয়ায়। সাকিবের টেস্ট খেলতে না যাওয়া নিয়ে আলোচনার সঙ্গে আছে সমালোচনাও। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে জানিয়ে গেছেন তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনা।

এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে কোনটা ইম্পরটেন্ট সেটা আমি জানি, কোনটা প্রেফারেন্স দিতে হবে সেটাও আমি জানি। আসলেই এমন একটা সময় এসেছে, আমি টেস্ট নিয়ে চিন্তা (বিরতির কথা) করছি। এটাই হচ্ছে ফ্যাক্ট যে, আমি আদৌ টেস্ট খেলব কি না। খেললেও কীভাবে খেলব। ওয়ানডে ফরম্যাটে যেগুলোতে পয়েন্ট সিস্টেম নেই, সেগুলোতে আমার খেলার দরকার আছে কি না। আমার এখন আর কোনো অপশন নেই। বলছি না আমি অবসর নেব। এমনও হতে পারে—২০২২-এর বিশ্বকাপের পর আমি যদি আর টি-টোয়েন্ট না খেলি, তখন আবার ওয়ানডে ও টেস্ট খেললাম। একসঙ্গে তিন ফরম্যাটে খেলা প্রায় অসম্ভব আমার জন্য। কারণ, আপনি যদি ৪০-৪২ দিনে দুটি টেস্ট খেলেন, এটা কোনোভাবেই ফ্রুটফুল নয়। স্বাভাবিকভাবে, আমাকে সিলেকটিভ ম্যাচ খেলতে হবে। এগুলো নিয়ে বিসিবির সঙ্গে বসে একটা পরিকল্পনা করা জরুরি। সেভাবেই সামনে এগোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে। জানুয়ারির ভেতরে পরিকল্পনাগুলো করলে ভালো হবে।’

এসব ঘটনার মূলে আছে কোয়ারেন্টিনের বিভীষিকা। সেটি কতটা ভয়ংকর লেগেছে সাকিবের, তা বলছিলেন তিনি, ‘আমার কাছে মনে হয়—জেলখানায় যদি আপনাকে দিয়ে দেওয়া হয়, যেমন জীবন থাকবে, ঠিক তেমনই। জেলখানায় মানুষ কারও সঙ্গে কথা বলতে পারে। তবে, এমন নয় (যে), খেলোয়াড়েরা অনেক ঘোরাঘুরি করেন। যখন আপনি জানবেন, চাইলেই বের হতে পারবেন না, প্রবলেম সেখানে। যেটা মনে হচ্ছে—করোনা খুব দ্রুত যাওয়ার নয়। এর মধ্যে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের অন্য একটা পথ বের করতে হবে।’

সাকিবের তিন সন্তানই দেশের বাইরে থাকায় বিষয়টি নিয়ে ভাবনায় তিনি। পারিবারিক জীবনে স্থিতাবস্থা সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে তাঁর কাছে। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘যখন আপনার তিনটা ছোট ছোট বাচ্চা থাকবে। আপনি তাদের সময় দিতে পারবেন না। তাদের সঙ্গে দেখা (হবে) আট-দশ দিনের জন্য। তার পর আবার আপনি দেড়-দুই মাসের জন্য বাইরে। আবার ১৫ দিনের জন্য দেখা হবে। এটা বাচ্চাদের বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্র খুবই আনহেলদি ব্যাপার। আমি চাই না, আমাদের বাচ্চারা সেভাবে থাকুক।’

এদিকে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বাকাপে লজ্জাজনক হারের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি গত বেশকিছুদিন ধরে নানা আলোচনায় রয়েছে টাইগাররা। তবে এর রেশ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আগামীতে আবারও মাঠে তাদের উপস্থিতি ভক্তদের জন্য আনন্দিত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

About

Check Also

সাকিব ইস্যুতে বাংলাদেশকে ‘নিষিদ্ধ’ করতে পারে আইসিসি

সাকিব আল হাসানকে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে তার ভক্তরা নানা কর্মসূচি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *