Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আলোচিত সেই রায়হানের মা এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানালেন বিশেষ অনুরোধ

আলোচিত সেই রায়হানের মা এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানালেন বিশেষ অনুরোধ

প্রশাসন রাষ্ট্রের অধীনস্থ একটি বিশেষ বাহিনী। রাষ্ট্রের জনগনের জান মালের নিরাপত্তরা লক্ষ্যে বাহিনীটি বিশেষ ভাবে কাজ করে থাকে। তবে এই বাহিনীর কিছু অসাধু ব্যক্তিদের জন্য প্রায় সময় পুরো বাহিনী নানা ধরনের বির্তকের সম্মুখীন হচ্ছে। বেশ কিছু দিন আগে সিলেটের বন্দরবাজার পু/লি/শ ফাঁড়িতে পু/লি/শি নি/র্যা/ত/নে নি/হ/ত হয়েছেন রায়হান নামে এক যুবক, এই ঘটনাকে ঘিরে দেশ জুড়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এবং এই ঘটনযায় দোষীদের গ্রে/ফ/তার করেছে প্র/শা/সন। এবার এই সকল দোষীদের বিরুদ্ধে সরকারের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানালেন নিহত রায়হানের মা।

রায়হান হ/ত্যা মামলার পলাতক আসামি নোমানকে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন মা সালমা বেগম। গতকাল দুপুরে সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন- রায়হান খু/নে/র ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া নোমানের অনুপস্থিতির কারণে আলোচিত এ মামলার বিচারকার্য শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। এখন শোনা যাচ্ছে নোমান বিদেশে আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সৌদি আরব থেকে সিলেটের রাজন হ/ত্যা মামলার আসামিকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। রাজন হ/ত্যা/র মতো রায়হানের ‘খু/নি’ নোমানকেও যেন ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সুনজর কামনা করেন। রায়হানের মা জানান, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রায়হান হ/ত্যা/র বিচার হোক।

আমি আশা করবো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার রায়হানের খু/নি/দে/র বিচার শুরু হোক। ঢাকায় আবরার হ/ত্যা হয়েছিল। এ মামলায় আসামি ছিল ২৫ জন। ২০ জনের ফাঁ/সি/র রায় হয়েছে, ৫ জনের যাবজ্জীবন। রায়হান হ/ত্যা মামলার আসামি ৬ জন। এ ৬ জনেরই যাতে ফাঁ/সি হয়, এজন্য আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। এরা যদি কা/রা/গা/র থেকে বের হয়ে যায়, প্রথমে তো আমাকে মা/র/বেই, আর অনেককে মা/র/বে।’ তিনি বলেন- ‘নোমানের মালামাল ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।’ এদিকে গতকাল সিলেটে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ছিল রায়হান হ/ত্যা মামলার শুনানি। সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এস/আই হাসান উদ্দিন, এ/এস/আই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদকে আদালতে হাজির করা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাদেরকে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে পলাতক রায়হানের মালামাল ক্রোকের প্রতিবেদন দাখিল করে পু/লি/শ। পু/লি/শে/র পক্ষ থেকে জানানো হয়; প/লা/তক নোমানের নামে কোনো মালামাল পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী আদালতে নোমানের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে নোমানকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এমএ ফজল চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কমপক্ষে দুটি পত্রিকায় নোমানের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হবে। এর মাধ্যমে তাকে অবহিত করা হবে যে, তিনি আদালতে হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য শুরু হবে। এদিকে শুনানি শেষে আদালতে রায়হান হ/ত্যা/র প্রধান আ/সা/মি সহ ৬ জনকে কারা/গা/রে নেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ১১ই অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পু/লি/শ ফাঁড়িতে নিয়ে নি/র্যা/ত/ন করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মা/রা যান। পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হ/ত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তে প্রথমে পু/লি/শ ছিল। পরে সে বছরের ১৩ই অক্টোবর মামলাটি স্থানান্তর করা হয় পু/লি/শ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবি/আই) কাছে। চলতি বছরের ৫ই মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবি/আইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়, তাদের পাঁচজনই পু/লি/শ সদস্য। পু/লি/শের বাইরে কোম্পানীগঞ্জের সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়। রায়হান হত্যা ঘটনার পর ভারতে এক সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন এস/আই আকবর। ওই বছরের ৯ই নভেম্বর দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে পু/লি/শ। আকবরকে পাওয়া গেলেও ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা রয়েছে কোম্পানীগঞ্জের কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।

দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেও প্রশা/স/ন বিশেষ ভাবে কাজ করছে। এমনকি বর্তমান সরকার এই বাহিনীকে আধুনিকরন করতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এমনকি বাহিনীতে থাকা সকল অপরাধীদেরকেও শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে গ্রহন করেছেন নানা ধরনের পদক্ষেপ। ইতিমধ্যে এরই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *