অপহরের ঘটনা নতুন নয়, প্রায় প্রতিদিন এসব চক্রের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে কাউকে না কাউকে। তবে এমনও দেখা গেছে, এ পরিস্থিতিতে পড়েও নিজের বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করে বেঁচে গেছেন কেউ কেউ। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি এবার এমনই একটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানারা গুরুগাঁওয়ের। নিজের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এ ঘটনা সম্পূর্ন বর্ণনা করেছেন ভুক্তভোগী এক তরুণী নিজেই। তার নাম নিষ্ঠা। আর সেটা প্রকাশ করলো ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি।
দুপুর সোয়া বারোটার দিকে গুরুগাঁওয়ের সেকশন ২২ থেকে অটোরিকশাতে ওঠেন নিষ্ঠা। সেখান থেকে তার বাসা অটোতে সাত মিনিটের পথ। বাকিটা শুনুন নিষ্ঠার ভাষ্যে—
‘আমি ড্রাইভারকে বললাম, তাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করবো। কারণ সঙ্গে নগদ ছিল না। সে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলো। তারপর সে জোরসে গান ছেড়ে দিলো। সেই গান আবার ধর্মীয় গান। কিন্তু ভলিউম ছিল বেশি।
আমরা টি-সেকশনে পৌঁছলাম। আমি বললাম ডানে যেতে। কিন্তু চালক টান দিলো বাঁয়ের রাস্তা ধরে। আমি প্রথমে চেঁচামেচি করতে শুরু করলাম। কিন্তু সে আমার কথা কানেই তুললো না। এরপর পেছন থেকে তার কাঁধে আমি আঘাত করতে থাকি। কিন্তু কোনও জবাব না দিয়ে সে ডানের রাস্তা ধরে নির্জন গলির দিকেই ছুটছিল। কমসে কম ৮-১০ বার আমি তাকে গায়ের জোরে আঘাত করি। তবু সে নির্বিকার।
এদিকে গাড়িটা তখন কমপক্ষে ৪০ কিলোমিটার বেগে চলছিল। আমি চটজলদি সিদ্ধান্ত নিলাম—অপহৃত হওয়ার চেয়ে দুয়েকটা হাড় ভাঙাটা মন্দ নয়। সময়-সুযোগ বুঝে দিলাম লাফ। জানি না এত সাহস কীভাবে ভর করেছিল আমার ওপর।’
এদিকে এরই মধ্যে নিষ্ঠার এই ঘটনা জানতে পেরেছেন দেশটির পুলিশ প্রশাসনও। জানা গেছে, নিষ্ঠাকে অপহরণের চেষ্টাকারী ঐ যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা যাচ্ছে পুলিশ। তবে গাড়ির নম্বরটি টুকে নিতে পারেননি নিষ্ঠা। ফলে ঐ যুবকের সন্ধান পাওয়া রীতিমতো কষ্টসাদ্ধ্য হয়েছে পড়েছে পুলিশের জন্য।