বিচ্ছেদের এক বছর যেতে না যেতেই সম্প্রতি সাবেক স্বামী হারুনুর রশীদ অপুর বিরুদ্ধে শারীরিক নানা নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন বাংলা ছোট পর্দার অন্যতম সুপার স্টার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। আর এ নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে বইছে ব্যাপক শোরগোল। তবে ফারিয়ার করা সকল অভিযোগ রীতিমতো অস্বীকার করে এবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের অবস্থার পরিষ্কার করেছেন অভিনেত্রীর সাবেক স্বামী অপু।
জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারেই সত্যি নয়। এবার তিনি সেই অভিযোগ নিয়েই খোলাখুলি কথা বললেন একটি জাতীয় দৈনিকের সাক্ষাৎকারে।
ওই সাক্ষাৎকারে অপু বলেছেন, ‘ফারিয়া এত দিন পর্যন্ত অনেকের কাছে বলেছে সে আমাকে রেসপেক্ট করে। আমার প্রতি যদি তার এতই বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকত, তাহলে এই এক বছর সে আমার সঙ্গে বন্ধু থাকতে চাইত না। হয়তো এখন তার সময় খারাপ যাচ্ছে, সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। হতে পারে ইভ্যালি নিয়ে সে যে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছে, তার থেকে নজর অন্যদিকে ঘোরাতেই আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছে। তবে আমি জানি না, সবই ধারণা।’
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে অপু বলেন, ‘আমি ডমেস্টিক ভায়োলেন্স কখনোই সাপোর্ট করি না। স্বামী বা স্ত্রী যেই হোক, কেউ কারও গায়ে কখনো হাত তুলতে পারবে না। এক বছর পর ফারিয়া যে অভিযোগ তুলেছে, তা সত্যিই দুঃখজনক। তাছাড়া ও কিন্তু সরাসরি বলেনি, যে আমি মেরে হাত ভেঙে দিয়েছি। ভাসা ভাসাভাবে লিখেছে। যেটার অর্থ দাঁড়ায়, হাতটা আমি ভেঙে দিয়েছি। হয়তো সে অন্য কোনো ঘটনার মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরাতে চাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে শবনম ফারিয়াকে প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। তবে পরবর্তীতে প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান-এমডি গ্রেপ্তার হলে ফারিয়া তার পদ থেকে ইস্তফা দেন বলে দাবি করেন। কিন্তু তাতে পার পাননি। গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিনেত্রীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক।
ফারিয়াসহ ওই মামলায় আরও দুই তারকা আসামি হলেন- ইভ্যালির সাবেক শুভেচ্ছাদূত গায়ক-অভিনেতা তাহসান রহমান খান এবং তার সাবেক স্ত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। এই অভিনেত্রী ইভ্যালিতে ছিলেন ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। এ মামলায় বর্তমানে চার সপ্তাহের আগাম জামিনে রয়েছেন দুই অভিনেত্রী মিথিলা ও ফারিয়া। অপুর ধারণা, এসব ঝামেলা থেকে নজর অন্যদিকে ঘোরাতেই ফারিয়া তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছেন।
উল্লেখ্য, কাজের সূত্র ধরেই ফারিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটে অপুর। এরই ধারাবাহিকতায় বন্ধুত্বের পর একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর ২০১৮ সালে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। তবে দাম্পত্য জীবনের মাত্র দুই বছরের মাথায় বিচ্ছেদ ঘটে তার।