Saturday , December 28 2024
Breaking News
Home / Entertainment / অপুর শরীর ছিল ফারিয়ার খামচিতে ক্ষত-বিক্ষত, তার নামে ফ্ল্যাট কেনার চাপ দিয়েছিল:অপুর মামা

অপুর শরীর ছিল ফারিয়ার খামচিতে ক্ষত-বিক্ষত, তার নামে ফ্ল্যাট কেনার চাপ দিয়েছিল:অপুর মামা

ভালোবেসে বিয়ে, অতঃপর দাম্পত্য জীবনের দুই বছর যেতে না যেতেই স্বামী হারুনুর রশীদ অপুর সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানা নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন বাংলা ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এরই মধ্যে নিজের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন স্ট্যাটাস শেয়ার করে স্বামীর নির্যাতনের কথা তুলে ধরেছেন তিনি।

তবে এবার সেই অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনলেন সাবেক স্বামী হারুনুর রশিদ অপুর মামা আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল। তাঁর দাবি ফারিয়া ইভ্যালি কাণ্ড থেকে বাঁচতে সাবেক স্বামীকে শিকারে পরিণত করার সস্তা পথ বেঁচে নিয়েছেন। ফারিয়া আঙ্গুলে আঘাত পেয়েছিল, কারণ সারা রাত ঝগড়া ও আঘাত করায় অপুর শরীর ছিল খামচিতে ক্ষত-বিক্ষত। নারীর গায়ে হাত তোলার শিক্ষা অপু পায়নি উল্লেখ করে জুয়েল বলেন, লোভী ও অর্থলিপ্সু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ‘বিয়ের পর ফারিয়া তার নামে ফ্ল্যাট কিনতে চাপ দিয়েছিল।

সোমবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে ঐ পোস্ট দেন অপুর মামা পরিচয়দানকারী মা জুয়েল। এরপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়ে। তার ঐ পোস্টে ফারিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অপুকে নিজের বোনের ছেলে দাবি করে জুয়েল বলেন, ‘আমি সাধারণত ফেসবুকে ব্যক্তিগত বিষয় বলি না। একটি বিষয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে এবং একপাক্ষিকভাবে তা আবার মিডিয়ায় আসছে। তাই না বলে পারছি না। ইভ্যালি ইস্যুতে নাম আসার পর যে সস্তা পথটি শবনম ফারিয়া বেছে নিয়েছে তা হচ্ছে সাবেক স্বামীকে শিকারে পরিণত করে সহানুভূতি লাভের চেষ্টা। ফারিয়ার সাবেক স্বামী অপু আমার বোনের ছেলে। অপুসহ আমার ভাগ্নেদের মতো সহজ-সরল, সৎ, ভদ্র ও‌ ভালো ছেলে খুব কমই হয়। তারা আমার হৃদয়ের অংশের মতো, কিন্তু তবু অন্যায় করলে আমি সাফাই দিতাম না। কিন্তু যে প্রচার-অপপ্রচার চলছে তার একটি বস্তুনিষ্ঠ সারমর্ম তুলে ধরছি।’

তিনি বলেন, ‘ফারিয়ার প্রথম বিয়ে ভেঙ্গে যায় ১০ দিন আগে। মানসিকভাবে যখন সে বিধ্বস্ত, তখন তার পাশে বন্ধুর মতো দাঁড়িয়েছিল অপু। দীর্ঘদিন বন্ধুত্ব চলার পর, একে অপরকে জেনে ও বুঝে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। পারিবারিকভাবে আমরা সাধারণ মেয়ে চাইলেও তাদের সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কোনো আপত্তি করা হয় নি।

লোভী ও অর্থলিপ্সু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে ফারিয়া- উল্লেখ করে অপুর মামা জুয়েল বলেন, ‘আমার দুলাভাইয়ের মৃত্যুর পর আপা একা হয়ে পড়ায় নিজের বাড়িতে না থেকে অন্য বোনদের কাছাকাছি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ফারিয়া অপুদের তিন বেড রুমে ভাড়া থাকার কথা উল্লেখ করে লোভী ও অর্থলিপ্সু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তবে অপুর উত্তরাধিকার সূত্রে যা আছে তার যতটা সে জানে তা উল্লেখ করা উচিত ছিল। যাই হোক বিয়ের পর ফারিয়া তার মা সহ অপুকে নিয়ে আলাদা থাকতে চেয়েছিল, যাতে আমরা কেউ দ্বিমত করি নি। বিয়ের কেনাকাটা থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান পর্যন্ত ফারিয়া যা চেয়েছে, যেভাবে চেয়েছে, যেভাবে এ্যরেঞ্জমেন্ট করেছে, আমার আপা তাই দিয়েছেন। যখন চেয়েছে ইন্ডিয়া গেছে, ব্যাংকক গেছে। কখনো প্রশ্ন করা হয় নি কেন বা কোথায় টাকা খরচ হবে!’

ফারিয়া নিজের নামে ফ্ল্যাট কেনার চাপ দিয়েছিল উল্লেখ করে বলেন, ‘বিয়ের পর ফারিয়া তার নামে ফ্ল্যাট কিনতে চাপ দিয়েছিল। দুটি বহুতল ভবন ও নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট থাকার পরও এমন দাবি অযৌক্তিক মনে করেছেন আমার বোন। তবে আলাদা থাকতে আপত্তি করেন নি। ফারিয়া কখনো বলতে পারবে না আমাদের কেউ কখনো তাকে কোনো বিষয়ে সামান্যতম কটু কথা বলেছে।’

আঙ্গুল ভাঙার প্রেক্ষাপট ন্টেনে জুয়েল বলেন, ‘ফারিয়ার আঙ্গুল ভেঙ্গেছিল, যদিও এখন বলা হচ্ছে হাত ভেঙ্গে দিয়া হয়েছিল। ফারিয়া আঙ্গুলে আঘাত পেয়েছিল, কারণ সারা রাত ঝগড়া ও আঘাত করায় অপুর শরীর ছিল খামচিতে ক্ষত-বিক্ষত। নারীর গায়ে হাত তোলার শিক্ষা অপু পায় নি। কিন্তু নিজেকে রক্ষার চেষ্টায় আঙ্গুলে আঘাত লাগা অস্বাভাবিক নয়। প্রহার করতে চাইলে কেউ আঙ্গুল ভাঙ্গে না। আর তেমন কিছু হলে ফারিয়া নিশ্চিতভাবেই মামলা ঠুকে দিত।

বিচ্ছেদের পর কাবিনের টাকা প্রসঙ্গে বলেন, অপু-ফারিয়ার বিচ্ছেদ হয়েছে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে। তবে সেখানে কোনো পক্ষের অভিভাবক ছিল‌ না। আমরা এবং ফারিয়ার দুই বোনও তালাকের বিরুদ্ধে ছিল। ফারিয়া কাবিনের টাকা পরিশোধ করে তালাক দিতে বলেছিল। বিয়েতে দেয়া স্বর্ণালঙ্কার কাবিনের টাকার উসুল হিসেবে ধরার নিয়ম থাকলেও তা ধরা হয় নি। তবু সামান্যতম আপত্তি না তুলে টাকা দিয়ে দেয়া হয়েছে। অপুকে দেয়া একমাত্র আংটিটিও ফেরত নিয়ে যায়। তালাকের পর ফারিয়ার স্ট্যাটাস কি ছিল তা অনেকেই পড়েছেন।

ইভ্যালি প্রসঙ্গে জুয়েল বলেন, পরিশেষে সাংবাদিক ভাইদের বলবো, কেন কি হয়, তা জানা ও বোঝার মতো জ্ঞান নিশ্চয়ই আপনাদের আছে।

ইতিমধ্যে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন রাসেল দম্পতিসহ আরও কয়েকজন। আর এ মামলায় ফেঁসে গেছেন শবনম ফারিয়াসহ তাহসান ও মিথিলাও। রীতিমতো বেশ আলোচনায় রয়েছেন তারা।

About

Check Also

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিথিলার দাম্পত্যে ভাঙনের সুর

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা এবং পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা পরিচালক সৃজিত মুখার্জির দাম্পত্য জীবনে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *