বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্যে “শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড”। এই শিক্ষা ছাড়া দেশ ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমান সময়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার মান এবং হার। এবং দেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় শেখ হাসিনা। এমনকি তিনি স্নাতক পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব নিতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এই বিষয়ে জানালেন বিস্তারিত।
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করে দেশকে আলোকিত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরুষের পাশাপাশি জাতি গঠনসহ সর্বক্ষেত্রে নারীরা যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এজন্য দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত সরকারি খরচে ছেলে এবং মেয়েদের লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব সরকার বহন করবে, এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নে আউলিয়াপুর নুরাণী হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার নতুন ৩য় তলা ভবনের ১ম তলা ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধন ও ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দিনাজপুর কেবিএম কলেজিয়েট হাই স্কুলের নবনির্মিত ২য় ও ৩য় তলা সম্প্রসারণ ভবনের উদ্বোধন শেষে পৃথক বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইকবালুর রহিম আরও বলেন, একদিন যে আমেরিকা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিল সেই আমেরিকা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে আখ্যায়িত করে। অনেক দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুসরণীয়-অনুকরণীয় নেতৃত্বে পরিণত হয়েছেন। মাথার ওপর দিয়ে ট্রেন চলবে এটা সিনেমায় ছিল, আমাদের স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরন সহ বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান করছেন বংলাদেশ সরকার। এমনকি স্কুল ড্রেস সহ দুপরের খাবারও প্রদান করছেন। শিক্ষা খাতে এমন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় দেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে দেশের নিরক্ষতার হারও অনেকটাই কমে গেছে।