বর্তমান সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমশই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে উন্নয়নের চলমান অগ্রগতি দেখে বিশ্ব দরবারে বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এমনকি বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। এই তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। সম্প্রতি বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ ভাবে কাজ করছে।
বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাতে এই ইচ্ছে প্রকাশ করে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খবরটি জানানো হয়।
প্রতিনিধি দলে থাকা ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি সেবার অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে মেগান এম ফ্রান্সিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলার বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে এবং দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান হতে পারে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ দেখে আমি অত্যন্ত মুগ্ধ। এ খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র নির্ধারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সীমিত সম্পদ দিয়ে সবকিছু ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করছি আমরা। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ। আমরা জাতি হিসেবে কোনও দেশের সঙ্গে বৈরিতায় বিশ্বাসী নই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ভালো সহযোগিতার সম্পর্কও আছে। এক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।’ প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি সেবার কৃষি বিশেষজ্ঞ তানভীর মাহমুদ বিন হোসাইন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি সেবার কৃষি সহকারী মো. তানভীর আহমেদ।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বেশ কিছু খাতে বিশ্বের অনেক দেশ মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করছে। এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধাও প্রদান করছে বাংলাদেশ সরকার।