বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন সম্প্রতি ব্যাপক ভাইরাল হওয়া রাজধানী ঢাকার ধামরাইয়ের মো. রাজীব হাসান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। শুধু তাই নয়, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঐ নারীকে দুইবার স্বামীর সংসার ভাঙতে বাধ্য করেন রাজীব। কিন্তু এরপরও রীতিমতো টালবাহানা শুরু করেন তিনি। তবে এরই মধ্যে জানা গেল, অবশেষে পুলিশের উপস্থিতিতে ঐ নারীকে বিয়ে করেছে রাজীব।
আর এ ঘটনার পরই রীতিমতো ভাইরাল হয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। পুলিশের ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন হয়। অতপর ৪ দিন পর গতকাল শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) অনশনরত দুই সন্তানের জননীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
দুইবার স্বামীর সংসার ভাঙার পরও বিয়ে না করায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন ধরে অনশনের পর এ বিয়ে করতে বাধ্য হয় ওই ছাত্রলীগ নেতা। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. রাজীব হাসান। তিনি বালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। খবর পেয়ে শত শত উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে ওই বাড়িতে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছেন, আগের প্রেমের সূত্র ধরে প্রথম বিয়ের সংসারও ভাঙেন ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসান। তিনি বিয়ে না করায় প্রেমিকাকে পরিবারের লোকজন মাসখানেক আগে বিয়ে দেন চৌহাট ইউনিয়নের শিক্ষা সমৃদ্ধ গ্রাম রাজাপুরের এক ব্যক্তির সঙ্গে। একই কায়দায় সপ্তাহখানেক আগে প্রেমিকার দ্বিতীয় স্বামীর ঘরও ভাঙেন প্রেমিক ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসান।
এরপর আবারও দুই সন্তানের ঐ জননীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যান ছাত্রলীগ নেতা রাজীব। কিন্তু বিয়ের কথা বললেই রীতিমতো এড়িয়ে যান তিনি। আর এ অবস্থায় কোনো উপায় না পেয়ে শেষমেষ রাজীবের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন তিনি।