বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা কর্মের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে থাকে অসংখ্য বাংলাদেশী। এই তালিকায় রয়েছে মালয়েশিয়াও। বর্তমান সময়ে দেশটিতে বিপুল সংখ্যাক বৈধ-অবৈধ অসংখ্যক বাংলাদেশী বসবাস করছে। তবে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বৈধ পথে শ্রমিক গ্রহনের একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরই সুত্র ধরে প্রকাশ্যে উঠে এসেছে মালয়েশিয়া যেতে কী কী সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা।
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে আজ রোববার মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলো। এ স্মারকে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধার কথা উল্লেখ আছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় স্মারকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে এমন তথ্য দিয়েছে। আজ রোববার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়া সরকারের মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। আজ প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। যেমন রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া, তাঁদের আবাসন, কর্মে নিয়োজিত করা এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ বহন করবেন। নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইনস্যুরেন্স–সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন–সংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবেন।
মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশি কর্মীদের অভিবাসন খরচ অনেক কমে যাবে। মালয়েশিয়া সরকার ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে। এরপর কর্মী নিয়োগ শুরু করার লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আন্তমন্ত্রণালয় পরামর্শ এবং কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন তৎপরতা চালায়। এসব প্রচেষ্টার ফলে মালয়েশিয়া সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেয়।
প্রবাসী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিবছরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমানের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে প্রবাসীরা। এই দিকে এই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।