মুরাদ ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তাই অনেক আগে থেকেই পরিবারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন তিনি। এরই সুবাদে পাড়ি দিয়েছিলেন সূদুর সৌদি আরবে। দীর্ঘদিন সেখান কাজের পর গত বছর তিনেক আগেই দেশে ফেরেন মুরাদ। আর এর আড়াই বছরের মাথায় পারিবারিক ভাবে বিয়ের কাজ শেষ করেন তিনি। তবে এরপর জীবিকার তাগিদে আবারও সৌদি আরবে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। কিন্তু দু্ভাগ্যবসত নতুন সংসারটাকে ভালো করে গুছিয়ে নেয়ার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমাতে হলো তাকে।
জানা যায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় সৌদি আরব মদিনা শহর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আল হাইল নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাণ মুরাদ (২৭)।
নিহত যুবক মুরাদ হোসেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউপির ১নং ওয়ার্ড আজগর আলী বেপারী বাড়ীর আনোয়ার হোসেনের ছেলে। মাত্র ছয় মাস আগে মুরাদ বিয়ে করেছেন।
নিহতের পরিবার ও প্রবাসী সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে সৌদি আরব থেকে বাড়িতে ফেরেন মুরাদ হোসেন। প্রায় ছয় মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। এরপর পাঁচ লাখ টাকা ঋণ করে গত তিন মাস আগে আবারও সৌদি আরব যান মুরাদ।
গত ১২ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলে ফার্নিচার দোকানের কাজ শেষে তার শহরের বাসায় ফিরছিলেন। এসময় বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে তিনি মারাত্মক জখম হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে শুক্রবার মারা যান মুরাদ।
এদিকে একমাত্র সন্তানের মৃত্যুর খবরে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মুরাদের পরিবার-স্বজনরা। জানা গেছে, ছেলের মৃত্যুর শোকে জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলেন মা। বর্তমানে নিকস্থ একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় পরিবার-পরিজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন কেরোয়া ইউপি সদস্য আবুল কালাম কালু মুন্সিসহ আরও অনেকেই।