সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ সফলতার শীর্ষে স্থানে অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারও দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছে। অবশ্যে বর্তমান সরকার ৩ মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব পালন করছে। এতে করে দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি বজায় রয়েছে। স্থানীয় সরকার এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম দেশের উন্নয়ন এবং নাগরিক প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বলেছেন। বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের মর্যাদা বা সম্মান বৃদ্ধি যেমন প্রতিটি নাগরিককে গৌরবান্বিত করে, তেমনি সুনাম নষ্ট হলে এর দায়ভার সকলের ওপর বর্তায়। শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ইঞ্জিনিয়ার্স রিক্রেয়শন সেন্টার (ইআরসি) আয়োজিত ১৮তম প্রকৌশলী এম এ জব্বার স্মৃতি টেনিস প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে যে পেশায় থাকি না কেন, আমাদের বড় পরিচয় আমরা বাঙালি। আমার দেশ যত উন্নত, সমৃদ্ধ ও সম্মানিত হবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে সে সম্মানের অংশীদার হবো। পক্ষান্তরে আমার দেশ যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও কলঙ্কিত হয়, দেশের সুনাম নষ্ট হয়, তাহলে এর অংশীদারও হবো আমি। আমরা এর দায়ভার এড়াতে পারি না।’ তিনি জানান, বাংলাদেশ এখন আর ফকির-মিসকিনের দেশ নয়। অবহেলা করার জাতি নয়। বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে আঙুল তুলে বা চোখ রাঙিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই। কেউ আঙুল বা চোখ রাঙিয়ে কথা বললে তার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে। দেশ নিজস্ব ক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল। শেখ হাসিনার জন্য বাঙালি বিশ্বে নতুন পরিচয় লাভ করেছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই খেলাধুলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। ফলে ক্রিকেট-ফুটবলসহ সকল খেলায় অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। যে ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের নাম ছিল না, সেই দেশ এখন ক্রিকেট পরাশক্তিদের অনায়াসে পরাজিত করছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য অর্থনৈতিক ও সেবাখাত, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য এবং তথ্য প্রযুক্তিকে যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন, তেমনি খেলাধুলাতেও বিশেষ নজর দিয়েছেন। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল স্থান করে নিয়েছে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনো খাতকে অবহেলা করেননি। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ এদেশের মানুষ। এই সম্পদ ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই।
অভিভাবকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েদের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ হবে না। তাদের আগামী দিনের মানব সম্পদে রুপান্তরিত করতে হবে। এজন্য খেলাধুলা, শারীরিক কসরতসহ মানসিক এবং সৃজনশীল চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে হবে। খেলাধুলা মানসিক বিকাশ ঘটায়। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিপ্লবের বিকল্প নেই। ইআরসি’র নির্বাহী ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের বর্তমান সভাপতি প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদৎ হোসেন (শীবলু)। পরে মন্ত্রী বিজয়ী খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব দরবারে সুনাম এবং নানা ধরনের সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্যে দিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামলি হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রগতি দেশে বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে সাদুবাদ জানিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের সাথে যৌথ ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অবশ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করছে বিশ্বের অনেক দেশ।