বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। কিন্তু গত বেশকিছু বছর ধরে ক্ষমতায় না থাকায় রীতিমতো হতাশাগ্রস্থ হয়ে এ দল থেকে পদত্যাগ করেছেন অনেক নেতাকর্মী। তবে এরপরও দল থেকে আস্থা হারাননি বিএনপির অন্যতম গুণী নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। সব সময় চেষ্টা করেছেন দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত এবার সেই নেতাই বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ হারিয়েছেন। দলীয় কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয় থাকায় গেল অক্টোবরে বিএনপি তাকে অব্যাহতি দেয়।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে মেয়র সাক্কু বলেন, তারেক রহমান পার্টির মালিক, ওনি বাদ দিয়েছেন- আমার কিছু করার নেই। দলীয় কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। দলে আমার কর্মকাণ্ডে তারা সন্তুষ্ট নন। তাই আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে হয়ত আমার বিষয়ে ভুল বোঝানো হয়েছে, তাই তারা আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
মেয়র বলেন, নানা কারণে আমি হয়ত বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে না পারলেও আমার অনুসারীরা কর্মসূচি পালন করে। আমি এই দলের রাজনীতির সঙ্গেই থাকব। তবে অব্যাহতির চিঠির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, মেয়র হওয়ায় সবার সঙ্গে মিলেমিশে কথা বলে আমাকে চলতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানী ব্যক্তি, ওনাকে সালাম করা কী আমার অপরাধ? আমি এখনও বক্তব্য শেষে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলি। তবে বঙ্গবন্ধুকেও সম্মান করি। কারণ তিনি দেশ স্বাধীন না করলে আমি মেয়র হতে পরতাম না।
তিনি আরও বলেন, যে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে আমাকে কারণ দর্শানোর কথা বলা হচ্ছে, সেই দিনের কার্যবিবরণী দেখা হোক। সেদিন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন কি না, সেটা যাচাই করে দেখতে পারেন তারা।
এদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কুসিক’র মেয়রের দায়িত্বে রয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন তিনি। যথা সম্ভব নিজের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন তিনি। তাই এই কমিটিতে তার বাদ পড়ার বিষয়টি রীতিমতো মেনে নিতে পারছে না কেউ কেউ।